নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশ মানেই আবেগ, একুশ মানেই আন্দোলন, একুশ মানেই ভাষা, একুশ মানেই বৃষ্টি(Rain)। এই বৃষ্টি বার বার মা-মাটি-মানুষের আশির্বাদ হয়ে একুশে জুলাইয়ে(21 July) ঝরে পড়েছে তৃণমূলের(TMC) ওপরে। হেন কোনও একুশে জুলাই যায়নি তৃণমূলের জন্মের পর যেদিন বৃষ্টি হয়নি। আজ সেই একুশে জুলাই। সকাল থেকেই কলকাতার রাজপথে জনস্রোত। কলকাতার সব রাস্তা আজ ধর্মতলামুখী। জনসুনামিতে ঢাকা পড়েছে কলকাতার রাজপথ। সভা শুরু হয়েছিল নীল আকাশের নীচে। সেই সভা শুরু হওয়ার পরেই একসময় এল কালো মেঘ, সঙ্গে এল বাদল হাওয়া। আর তারপরেই মা-মাটি-মানুষের আশির্বাদ হয়ে নামল বৃষ্টি। আর তাতেই জনউচ্ছ্বাসে ভাসল ধর্মতলার একুশের প্রাঙ্গণ। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা তৃণমূলকর্মীরা, সমর্থকেরা, বাংলার মানুষেরা ভিজলেন সেই বৃষ্টিতে। এটাই একুশের আবেগ।
বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই একুশের মঞ্চ মাতিয়ে দিয়ে গেলেন একের পর এক বক্তা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিত থাপা, শত্রুঘ্ন সিনহারা। শিউলি সাহা বক্তব্য রাখার মাঝেই নামে বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টি মাথাতেই বক্তব্য রাখেন বীরবাহা হাঁসদা ও ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। মাথার ওপর ছাতা সরিয়ে বক্তব্য রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। সেই সঙ্গে সবাইকে ডাক দেন মাথার ওপর থেকে ছাতা সরিয়ে নিতে। সেই ডাকে সাড়া দেয় জনজোয়ারে সামিল লাখো লাখো মানুষ। তাঁরাও মাথার ওপর ছাতা সরিয়ে বৃষ্টিস্নাত হন অভিষেকের সঙ্গে। তবে এই বৃষ্টির জন্য কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। যদিও তাঁরাও জানেন একুশ মানেই বৃষ্টি। তাই তাঁরাও প্রস্তুত হয়েই এসেছিলেন। আর এই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এদিন কালিঘাট থেকে সভাস্থলের পথে রওয়ানা দেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।