নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সেনাবাহিনীতে (Armed Forces) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য চালু করা ‘অগ্নিপথ’ (Agnipath) প্রকল্প নিয়ে দেশজুড়ে যে অশান্তির আগুন এভাবে জ্বলে উঠবে, তা বুঝতেই পারেনি সরকারের শীর্ষ মহল। বিহার (Bihar), উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সহ ১৪ রাজ্যে লাগাতার বিক্ষোভে কয়েকশো কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে চাপ। আর সেই চাপ কীভাবে সামলানো যাবে, তা নিয়ে আগামিকাল দেশের তিন বাহিনীর প্রধানের (3 Service Chief) সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তবে বিক্ষোভের কাছে আত্মসমর্পণ করে কৃষি আইন প্রত্যাহারের মতো অগ্নিপথ প্রকল্প স্থগিত রাখার সম্ভাবনা নেই বলে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় (PMO) সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত ১৪ জুন ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প চালু হওয়ার পরেই যেভাবে দেশজুড়ে অশান্তির আগুন জ্বলে উঠেছিল, তা নিয়ে নীরবতা ভেঙে গতকাল রবিবার বেঙ্গালুরুর এক অনুষ্ঠানে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হল, অনেক ভাল জিনিস রাজনীতির পঙ্কিল আবর্তে পড়ে ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়। দর্শক টানার হিসেব-নিকেশ করে সংবাদমাধ্যমের একাংশও যে কোনও ভাল বিষয় নিয়ে রাজনীতির পাঁকে নিমজ্জিত হয়।’ সোমবার ফের মুখ খুলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘অনেক ভাল জিনিস প্রথম দিকে দেখতে ভাল লাগে না। কিন্তু পরে সেই জিনিসিই দেশ গঠনে বিশেষ সাহায্য করে।’
‘অগ্নিপথ’ নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ক্রমশ ছড়ানোর পরে যেভাবে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও এই ইস্যুতে সুর চড়াচ্ছে তাতে অশনি সঙ্কেত দেখছে সরকারের শীর্ষ মহল। বিরোধীরা পাশে দাঁড়ালে আন্দোলনকারীরা নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা।