এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দেউচা-পাচামি: জমিদাতাদের পুনর্বাসন প্রকল্প গোটা দেশের মধ্যে নয়া নজির তৈরি করল

বীরভূমে কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য জমি চাইছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরিবর্তে জমিদাতাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নতুন করে যে সংশোধিত পুনর্বাসন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন, তা সাম্প্রতিক কালের মধ্যে দেশের কোথাও তেমন কোনও নজির নেই বলেই মনে করছেন শিল্প মহলের একটি অংশ।

বীরভূমে দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্যের কয়লা ও বিদ্যুৎ শিল্পের স্বার্থেই এই প্রকল্প রাজ্য সরকার গড়ে তুলতে চায়। আর দেউচাতে মাটির নিচে যে পরিমাণ কয়লা মজুত রয়েছে, তাতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আগামী ১০০ বছর পশ্চিমবঙ্গকে কয়লার জন্য ভাবতে হবে না। আর কয়লা নিজেদের হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও বিশেষ বাড়বে না। মানুষ কম দামে বিদ্যুৎ কিনতে পারবে।

পাশাপাশি প্রথম থেকে তিনি এ কথাও বলে আসছেন, জোর করে কারুর জমি নেওয়া হবে না। সবার সঙ্গে কথা বলে, উপযুক্ত পুনর্বাসন দিয়েই প্রকল্পের স্বার্থে জমি নেওয়া হবে। প্রাক্তন সরকারি আমলাদের অনেকেই বলছেন, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী দেউচার জন্য যে পুনর্বাসন প্রকল্প ঘোষণা করেছেন তা বেশ আকর্ষণীয়। এই নিয়মে, আলোচনার মাধ্যমে, বাজার দর বুঝে ও একটি পরিবারের আর্থ – সামাজিক বিষয়গুলি বিবেচনা করে যদি তৎকালীন সরকার সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণের ভাবনা – চিন্তা শুরু করতো তাহলে সিঙ্গুরের মানুষও হয়ত আপত্তি করত না।

এই কয়লা খনি প্রকল্পটিকে ঘিরে জমিদাতারা শুধু সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সুযোগ, সুবিধা, সরকারি চাকরি পাবেন এমন নয়। এলাকায় অসংখ্য অনুসারি শিল্প গড়ে উঠবে। নতুন রাস্তা, বাজার, হাসপাতাল – সহ অন্যান্য সামাজিক পরিকাঠামো তৈরি হবে। কয়লা খনি শিল্পকে ঘিরে বীরভূম – সহ আশেপাশের জেলার বেকার ছেলেমেয়েদের বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। শুধু ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ হিসেবেই সরকার ১০ হাজার কোটি টাকা ধরে রেখেছে। এ ছাড়া এই কয়লা খনি প্রকল্পে বিনিয়োগ হবে আরও ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

মুখ্যমন্ত্রী বারবার বার্তা দিচ্ছেন, শিল্প হচ্ছে তাঁর এখন পাখির চোখ। আর এই শিল্পের হাত ধরেই তিনি রাজ্যে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চান। বিরোধীরা সিঙ্গুর – নন্দীগ্রামের সঙ্গে বীরভূমের কয়লা খনি প্রকল্পের তুলনা টেনে এনে জমি নেওয়ার বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে, সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের সঙ্গে দেউচার কয়লা খনি প্রকল্পের তুলনা বহু ক্ষেত্রেই মেলে না। বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের যে জায়গায় কয়লা খনি প্রকল্পটি গড়ে উঠবে, সেখানকার জমি কিন্তু সেই অর্থে দো ফসলি বা তিন ফসলি কৃষি জমি নয়। অধিকাংশ জমি অনুর্বর। এলাকার জনজাতি মানুষের একটা বড় অংশের রুটি-রুজি পাথর খাদানের উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও সরকারের নিজস্ব হাজার একর খাস জমি রয়েছে।

অন্যদিকে খনি প্রকল্পটি গড়ে উঠলে, জমিদাতারা পুনর্বাসন প্রকল্পের সুবিধা তো পাচ্ছেনই, সেই সঙ্গে সরকারি চাকরির সুবিধা। যার জন্য রাজ্যের মন্ত্রি সভার বৈঠকে ৫০০০ নতুন চাকরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এলাকার মহিলাদেরও বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে নেওয়া হবে বলে মুখ্য মন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দেউচাতে কেউ বঞ্চিত হবেন না। সবাইকে নিয়েই এই প্রকল্প গড়ে উঠবে। যদিও বিরোধীদের অনেকেই এটাকে আন্দোলনকে চাপা দিতেই সরকারের এই নতুন ক্ষতিপূরণের ঘোষণা বলে মনে করছেন। উচ্ছেদের বিরুদ্ধে জনজাতির লড়াই বলেও অনেকে মন্তব্য করছেন। এখন বীরভূমের মানুষ শেষ পর্যন্ত কি চান, সেটাই দেখার ! আর্থ – সামাজিক উন্নয়ন, না কি খনি প্রকল্পের বিরোধিতা। তবে বিভিন্ন সূত্রে খবর, মহম্মদবাজার ব্লকেরই বহু মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাচ্ছেন। অনেকেই জমি দিতে এগিয়ে আসছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়ে ‘গ্র্যামি’ জিতল শঙ্কর মহাদেবন ও জাকির হুসেনের ‘শক্তি’

ইতিহাসে প্রথম মহিলা প্রধান পেতে চলেছে মার্কিন নৌবাহিনী

অসাধ্য সাধন! ‘মিস নেদারল্যান্ড’ হলেন রূপান্তরকামী মডেল রিকি ভ্যালেরি কোলে

ব্রিটেনে শুরু নয়া যুগ, রাজা হিসেবে শপথ নিলেন চার্লস

আজ বিদ্রোহী কবির প্রয়াণ দিবস, তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর ‘অপরাধে’ মৃত্যু হয়েছিল যুবতীর

কথা বলো না, কেউ শব্দ করোনা, উনি গোলযোগ সইতে পারেন না

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর