নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: অনেকেই মজা করে বলেন, ‘টাকার আবার রং কী?
কিন্তু প্রশাসনের মাথায় বসে থাকা আধিকারিকরা তা মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, ‘বৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা সাদা আর অবৈধ টাকার রং কালো।’
চলতি বছরের বাজেটেই সেই ‘কালো’ টাকা ‘সাদা’ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল। কিন্তু তাতে খুব একটা সাড়া নেই। গত তিন মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২২ জন কালো টাকা সাদা করেছেন। আর ‘সাদা’ করা টাকার পরিমাণ মাত্র ১৫ কোটি। সরকারের কোষাগারে কর বাবদ জমা পড়েছে মাত্র ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা’।
চলতি অর্থ বছরে শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন খাতে প্রযোজ্য করহার এবং তার সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ জরিমানা দিয়ে টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার কথা জানান অর+তমন্ত্রী মোস্তফা কামাল। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ‘কোনও ব্যবসায়ী শর্ত মেনে সুযোগ গ্রহণ করলে এনবিআরসহ অন্য কোনো গোয়েন্দা সংস্থা তাঁর আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন করবে না।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অর্থ বছরে ১২ হাজার জন কালো টাকা সাদা করার সুবিধা নিয়েছিলেন। ২০ হাজার ৬০০ কোটি কালো টাকা সাদা হয়েছিল। আর তাতে সরকারের কোষাগারে জমা পড়েছিল দুই হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এবার প্রথম তিন মাসের তথ্য বলছে, কালো টাকা সাদা করতে অসাধু ব্যবসায়ী এবং চাকুরজীবিদের মধ্যে তেমন উৎসাহ নেই। ফলে কোষাগারে তেমন অর্থ জমা পড়েনি। অসাধু ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবিদের বিরুদ্ধে তাই বিশেষ অভিযানে নামার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।