নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: খাদ্য রসিকদের কাছে বাংলাদেশের গলদা চিংড়ির আলাদা কদর রয়েছে। প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গলদা চিংড়ি রফতানি করে প্রচুর বিদেশি মুদ্রা দেশে আনেন রফতানিকারক। এবার ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি অর্থাৎ জিআই সনদ পেল বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি। মঙ্গলবার এই স্বীকৃতি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরের রেজিস্ট্রার জনেন্দ্র নাথ সরকার। জিআই সনদ পাওয়ার ফলে বিশ্ববাজারে বাগদা চিংড়ির কদর বাড়ার পাশাপাশি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন বলে দাবি করেছেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হক। তাঁর কথায়, ‘বাগদা চিংড়ির একক স্বত্ব এখন শুধুই বাংলাদেশের।’
বাংলাদেশে প্রথম জিআই সনদ পেয়েছিল জামদানি শাড়ি। পরে ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, নেত্রকোনার সাদামাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, কালিজিরা চাল, ইলিশ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এসব পণ্য গোটা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ফজলি আম ও বাগদা চিড়িং যাতে জিআই সনদ পায় সেই চেষ্টা চালানো হয়েছিল।
মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের মে মাসে বাগদা চিংড়ির জিআই সনদ পেতে আবেদন জানানো হয়েছিল। গত বছরের ৬ অক্টোবর গেজেট এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে বিষয়টি প্রকাশ করে ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস বিভাগ। নিয়ম অনুযায়ী, জার্নালে প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে কেউ আপত্তি না করলে সেই পণ্যের জিআই সনদ পেতে আর কোনও বাধা থাকে না। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ছিল আপত্তি জানানোর শেষ দিন। ভারত সহ অন্য কোনও দেশ আপত্তি না করায় প্রথম আবেদনকারী হিসেবে বাংলাদেশ জিআই সনদ পেয়ে যায়।’