নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই স্পষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশকে ‘নব্য’ পাকিস্তান বানানোই লক্ষ্য পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের দয়ায় ক্ষমতায় আসীন মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের। বুধবার দেশের পুলিশ থেকে শুরু করে বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। আর ছয় কমিশনের মাথায় বসানো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি খান সেনাদের সহায়তাকারী ছয় রাজাকারকে। আর ওই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকা শিবিরের লোকজন।

অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে তিনি জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিমূলক সম্পর্ক চান। আর তার পরেই দেশকে নতুনভাবে গড়তে সংবিধান থেকে বিচার বিভাগ, পুলিশ থেকে প্রশাসনে সংস্কার আনতে ছয়টি কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করেন। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হয়েছেন সরফরাজ চৌধুরী, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান। দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হয়েছেন ইফতেখারুজ্জামান। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শাহদীন মালিক।

ছয় কমিশনের প্রধানের নাম ঘোষণার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কেননা, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী হিসাবেই পরিচিত ছয় জন। তাছাড়া শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, ইফতেখারুজ্জামান ও আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীরা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসাবেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত। এর মধ্যে পাকিস্তান প্রেমী হওয়ার কারণে শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি করেননি শেখ হাসিনা। ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে বিশেষ ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে ছিলেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। অন্যদিকে  ইফতেখারুজ্জামান গত ১৫ বছর ধরেই মুজিব কন্যার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।