নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: শাসকদল আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনীর সন্ত্রাস ও ভোট লুঠ রুখতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা সদস্যদের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ভোটের ১০ দিন আগে থেকে ফলপ্রকাশের পরবর্তী তিনদিন সন্ত্রাস রুখতে জলপাই রঙের উর্দিধারীদের উপরেই ভরসা রাখছেন নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা।
রবিবার সন্ধেয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে আগারগাঁওযে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে এক উচ্চ পর্যয়ের বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়ালের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, জন নিরাপত্তা বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সিনিয়র সচিবরা। প্রায় দু’ঘন্ট ধরে চলে বৈঠক। সূত্রের খবর, ‘পুলিশ ও আনসার দিয়ে যে অবাধ ও সুষ্ঠভাবে ভোট করানো সম্ভব হবে না, তা খোলামেলাই জানিয়ে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাঁচ বছর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজারের বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার যদি বেশি প্রয়োজন হয়, সেভাবেই মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন কমিশন চাইছে, সেনা মোতায়েন হোক। কীভাবে মোতায়েন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে সেনা মোতায়েন চেয়ে সুপারিশ পাঠাবে কমিশন। রাষ্ট্রপতি যদি সেই সুপারিশ মেনে নেন, তাহলে অবশ্যই সেনা মোতায়েন হবে। নির্বিঘ্নে ভোট সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’