নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করাতেই খুন করা হয়েছে  বাংলাদেশ সাংসদ আনোয়ার উল আজিম আনারকে। তদন্তে নেমে এই তথ্যই উঠে এসেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের কাছে। একইসঙ্গে এই খুনের ঘটনায় কলকাতার একাধিক সোনার দোকানের ব্যবসায়ীও বাংলাদেশি গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সাংসদের হাত ধরে দুবাই হয়ে বাংলাদেশ ঘুরে সোনা আসত কলকাতার বিভিন্ন সোনার দোকানে।

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজিমকে দুশো কোটি টাকা দিয়েছিলেন আক্রারুজ্জান শাহীন। শাহীনের সঙ্গে আনোয়ারের অবৈধ সোনার ব্যবসা চলত। শাহীনের সঙ্গে সোনার ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দুবাইতে সোনার ব্যবসায় শাহীনের বিনিয়োগ রয়েছে। দুবাই থেকে আসা সোনা আনোয়ার ভারতে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করতেন। শাহীন যে টাকা আনোয়ারকে দিয়েছিলেন, সেই টাকা শাহীর ফেরত চেয়েছিলেন। কিন্তু টাকা ফেরত না দেওয়ায় আনোয়ারকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল শাহীন।

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আনোয়ার উল আজিমের কাছ থেকে সোনা কিনেছিলেন তাঁর বন্ধু বরাহনগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। সাংসদ খুন হওয়ার পর গোপালেরও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গোপাল বিশ্বাস এলাকার লোকজনের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করতেন না। গোপাল বিশ্বাস একজন সোনা ব্যবসায়ী বলে জানা গিয়েছে। সোনা কিনে গয়না তৈরি করে বিদেশে পাঠানোর কাজ করতেন তিনি। শুধু গোপাল নন, আরও অনেক সোনার ব্যবাসায়ীর সঙ্গে বাংলাদেশের সাংসদের যোগাযোগ ছিল কিনা, গোয়েন্দারা তা বোঝার চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, গত ১২ মে বরাহনগরের গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে উঠেছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ। এরপর গত ১৩ মে গোপালের বাড়ি থেকেই সাংসদ যান নিউটাউনের আবাসনে যেখানে তাঁকে খুন করা হয়।