আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন, নিপীড়ন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। অন্তত পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে। তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে একই ধরনের আরও তিনটি ঘটনা ঘটেছে। তিনটি ঘটনার একটিরও বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়নি। কোনওটির তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। কোনও কোনও মামলা এখনও বিচারাধীন।
তুলে ধরা যাক সেই সব ঘটনা।
২০১২
ফেসবুকে অসম্মানজনক পোষ্ট দেওয়ার অভিযোগ তুলে বাড়ি-ঘর ও মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। যথারীতি হাসিনা সরকার প্রাথমিকভাবে কড়া পদক্ষেপ করে। ঘটনায় মোট ১৯টি মামলা দায়ের হয়েছিল। পরবর্তী কালে একটি মামলা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু কোনও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বহু বছর। কিন্তু না হয়েছে বিচার, না ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২০১৩
ধর্মকে অসম্মান করার অভিযোগে পাবনার বনগ্রাম বাজারে হিন্দু বাড়ি-ঘর ও মন্দিরে নিশ্চিন্তে চলে হামলা, ভাঙচুর। বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে পুলিশের তদন্তে কথিত ধর্মীয় অবমাননার কোনও পোস্ট পাওয়া যায়নি।
২০১৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একই অভিযোগে এবং একই কায়দায় একটি হিন্দু এলাকায় হামলা চলে। যথারীতি হাসিনা সরকার পদক্ষেপ করে। কিন্তু সেই মামলার নিষ্পত্তি ঘটেনি।
এই ঘটনার ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, এখনও তদন্ত চলছে। “আমরা তদন্তের প্রায় শেষ পর্যায়ে আছি, আশা করি ডিসেম্বরে অভিযোগ-পত্র দিতে পারব।”
এ বছর কী ঘটে, সেটাই এখন দেখার।