-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 3:11 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: বিয়ে মানেই আনন্দের উৎসব। বিয়ে মানেই দুই পরিবারে আত্মীয়-পরিজনদের মিলন ক্ষেত্র। সেখানে যেমন থাকবে, হই-হুল্লোড় তেমনই থাকে খাওয়ার নানা পদের আয়োজন। এক একজনের কত পরিকল্পনা থাকে এই বিয়েকে ঘিরেই। কিন্তু আচমকাই এই বিয়ের ওপর কোপ পড়তে চলেছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে। অনেকে ভাবছেন এটা আবার কি? কি কোপ পড়তে চলেছে বিয়ের ওপর? কারও কারও মনে হয়তো সন্দেহও দানা বাঁধছে, তাহলে কি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে বিয়ে নামক বস্তুটি?
না তা নয়। আসলে ব্যাপারটি হচ্ছে রাজকোষে দেখা দিয়েছে অর্থের অভাব। এবং সেই অর্থের অভাব কিভাবে মেটানো যায়? তা নিয়েই বহুদিন ধরেই হয়তো ধ্বন্দে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্তারা। অবশেষে তাঁদের মাথায় এসেছে এক অভিনব পদ্ধতি। যা পড়লে একবার না একবার আপনাকে চিন্তা করতেই হবে বিয়ে নামক বস্তুটিকে নিয়ে।
অর্থের অভাব মেটাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব বিভাগের কর্তারা বিয়ের ওপর কর ধার্য করেছেন। যেমন, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর যদি তাঁর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করতে চান তাহলে তাঁকে সরকারকে দিতে হবে ১০০ টাকা। আবার বরের যদি মনে হয় যে প্রথম স্ত্রী বেঁচে থাকা অবস্থায় আর একবার বিয়ের আসরে বসবেন, তাহলে তাঁকে দিতে হবে ৫,০০০ টাকা। এছাড়া প্রথম দুই স্ত্রী বেঁচে থাকা অবস্থায় যদি স্বামীর আবার বিয়ের ইচ্ছে হয় তাহলে তাঁকে গুণতে হবে ২০,০০০ হাজার টাকা। এবং চতুর্থবার যদি স্বামী যদি বিয়ে করতে চান, তাহলে তাঁকে দিতে হবে ৫০,০০০ টাকা।
তবে স্বামীদের ক্ষেত্রে আবার ছাড়ও রয়েছে। যেমন কোনও বউ যদি মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা সন্তানহীন হন তাহলে কিছুই দিতে হবে না স্বামীকে। এই অবস্থায় স্বামী যদি মনে করেন যে তিনি আবার বিয়ে করবেন, তাহলে তাঁকে দিতে হবে ২০০ টাকা কর।
এটা কি সম্ভব? এই সম্বন্ধে সিটি কর্পোরেশনের এক কর্তা জানান, আদর্শ কর তফসিলি ২০১৬ আইন অনুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বিয়ে করতে গেলে বিয়ের খরচের পাশাপাশি কর আরোপেরও উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সেই কর নেওয়ার বিষয়টি এতদিন বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার রাজকোষের অর্থের অভাব ঢাকতে এই পরিকল্পনার চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছে।
যদি তা সমস্ত আইনি বাঁধা টপকে বাস্তুবে রূপ পায়, তবে তা ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষ থেকেই চালু করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে তাঁদের। এখন গোটা প্রক্রিয়াটি ঝুলে রয়েছে বাংলাদেশের আইন বিভাগের ওপর। কেননা এই বিষয়টি তারাই দেখেন। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যেহেতু করের টাকা আদায়ের জন্য ওই দফতরে চিঠি দিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এবং তাদের দেওয়া ওই চিঠি অনুমোদনও করেছিল বাংলাদেশের আইন মন্ত্রণালয়। তারপর চিঠিটি তারা পাঠিয়ে দিয়েছে ওই দেশের সরকারের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্টার জেনারেলের কার্যালয়ে।
সুতরাং একবার ভেবে দেখবেন, বিয়ে করলেই হবে না, আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীদের পেট ভরে খাওয়ানোর খরচের পাশাপাশি আপনাকে অর্থ দিতে হবে সরকারকেও। ভাবা যায়! কাজেই একবার ভেবে দেখুন আর বিয়ে করবেন কি না? করলেই পকেট ফাঁকা।