এই মুহূর্তে




‘বিদ্যু‍ৎ সরবরাহ বন্ধ করবেন না’, ধার শোধে আদানির কাছে সময় ভিক্ষা ইউনূস সরকারের




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বকেয়া প্রাপ্য ৭০ কোটি ডলার অবিলম্বে পরিশোধ না করলে ৭ নভেম্বর থেকে বিদ্যু‍ৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। আর ওই হুঁশিয়ারির পরেই ঘুম উবেছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের। বকেয়া পরিশোধের জন্য আরও বেশ কিছুদিন সময় ভিক্ষা করা হয়েছে গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন সংস্থার কাছে। আদানি পাওয়ারের বকেয়া পাওনা দ্রুত মেটানোরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ইউনূস সরকারের ওই সময় ‘ভিক্ষা’ চাওয়ায় সাড়া দিতে পারে গৌতম আদানির সংস্থা।

গতকাল শনিবারই (২ নভেম্বর) ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় বকেয়া ৭০ কোটি ডলার পরিশোধের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে চরম সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আদানি পাওয়ার। আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে পাওনা পরিশোধ না করা হলে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা তাপবিদ্যু‍ৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশকে পুরোপুরি বিদ্যু‍ৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বিদ্যু‍ৎ সরবরাহে কাটছাঁট শুরু করেছে আদানি পাওয়ার। গত কয়েকদিনে বিদ্যু‍ৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।

আদানি পাওয়ারের বিদ্যু‍ৎ সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারির কথা জানাজানি হতেই হাড়কাঁপুনি ধরে যায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে। আদানির বিদ্যু‍ৎ সরবরাহ বন্ধ হলে কার্যত অন্ধকারে ডুবে যাবে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। এমনিতেই জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ বেড়ে চলেছে। এর পর দেশ অন্ধকারে ডুবে গেলে যে সাধারণ মানুষের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে তা বুঝতে পেরেই আসরে নামে ইউনূস সরকার। দিল্লির ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু মোদি সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ‘আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তির পিছনে দিল্লির কোনও ভূমিকা নেই। তাই এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়।’

এর পরেই অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টার তরফে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ধার পরিশোধের জন্য হাত জোড় করে সময় ভিক্ষা করা হয়। বেশ কয়েকদিন সময় চাওয়া হয় ধার শোধের জন্য। সেই সঙ্গে ৭ নভেম্বর থেকে বিদ্যু‍ৎ বন্ধ না করার করুণ আর্তি জানানো হয়। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে প্রকাশ্যে বলা হয়েছে, ৭ নভেম্বর আদানি পাওয়ার বিদ্যু‍ৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে, এমন কোনও খবর জানা নেই। তবে ধার শোধ নিয়ে অনেকটাই নরম সুর শোনা গিয়েছে ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলমের কণ্ঠে। রবিবার রাতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আদানি পাওয়ারকে গত অগস্ট মাসে ১০ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে। বকেয়া ৭০ কোটি ডলার মেটানোর চেষ্টা চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হবে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনে ‘হামলা’, ছিঁড়ে ফেলা হল পতাকা

জাতীয় পতাকা সম্মান না করলে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা করবেন না ভারতীয় চিকিৎসক

বাংলাদেশে শান্তি সেনা মোতায়েনের দাবি জানানোয় মমতাকে হুমকি মোল্লা ইউনূসের উপদেষ্টার

বিমানের ককপিটে একাধিক যৌন হয়রানির অভিযোগ পাইলটদের বিরুদ্ধে

দিল্লিকে জোর ধাক্কা ইউনূস সরকারের, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ব্যান্ডউইথ ট্রানজিটের প্রস্তাব খারিজ

‘বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার ভারতের জন্য ভাল হবে না’, এবার দিল্লিকে হুমকি ইউনূসের বিদেশ উপদেষ্টার

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর