নিজস্ব প্রতিনিধি: এক কাপ চায়ের দাম ১০ টাকা। একটা সিগারেটের দাম ২০ টাকা। হাতুড়ে ডাক্তারও বাংলাদেশে রোগী দেখতে নেন ন্যূনতম ৫০০ টাকা। সেখানে ডাক্তার (DOCTOR) সুমাইয়া ভিজিট ফি নিচ্ছেন মাত্র ১টাকা! ছড়িয়ে দিচ্ছেন মানবতার আলো। কারণ, বাবার ইচ্ছে এটাই। বাবা মীর মোজাম্মেল আলি বলেন, তাঁর নিজের ইচ্ছে ছিল ডাক্তার হওয়ার। সেই স্বপ্নই পূরণ হচ্ছে মেয়ের মাধ্যমে।
রাজশাহীর বাসিন্দা সুমাইয়া বিনতে মোজাম্মেল। সাহেব বাজার মনিচত্বরে থাকা একটি ওষুধের দোকানে তাঁর চেম্বার। ওই ক্লিনিকেই চাকরি করেন তিনি। সপ্তাহে পাঁচদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেখেন রোগী। চেম্বার বন্ধ থাকে শুক্রবার। রোগীরা জানাচ্ছেন, ডাক্তারের ব্যবহার এবং চিকিৎসা খুবই ভালো। কেন ১ টাকা নেন? আসলে তিনি নেন সাম্মানিক। বিনামূল্যে সেবা করার জন্য কোনও রোগী যাতে নিজেকে ঋণী না মনে করেন, তাই এই উদ্যোগ।
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে রাজশাহীর নিউ গভর্মেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন তিনি। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল ছোট থেকেই। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ হয়নি তাঁর। এমবিবিএস পড়েছিলেন রাজশাহী ইসলামি ব্যাঙ্ক মেডিক্যাল কলেজ থেকে। তারপরে শুরু করেন এভাবেই রোগী চিকিৎসা। কাজের পাশাপাশি প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিসিএস পরীক্ষার।
ডাক্তার জানাচ্ছেন, বাবার ইচ্ছে পূরণেই এই উদ্যোগ। রোগী ভিজিটের ১ টাকা জমা করে সেই টাকা তিনি দেন নিজেদের একটি সমাজসেবী সংগঠনে। রোগীরা বলছেন, ‘কসাই আর ডাক্তার একই তো নয়/ কিন্তু দু’টোই আজ প্রফেশন’ ধারণাটা বদলে যায় চিকিৎসক সুমাইয়াকে দেখলে।