নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট: ভারতের অসম ও মেঘালয়ের পাহাড়ি ঢাল বেয়ে আসা বৃষ্টির জলে কার্যত বানভাসি হয়ে উঠেছে সিলেট শহর ছয় ছয় উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই জলের তলায় তলিয়ে যাচ্ছে নতুন জনপদ। সুরমা সহ বেশ কিছু নদীর জল লাগাতার বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৫ লক্ষ মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যা দুর্গতদের ইতিমধ্যেই উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। জেলাজুড়ে ১৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় খাদ্য ও পানীয় জলের সঙ্কট শুরু হয়েছে।
ভারতের অসম ও মেঘালয়ে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আর ওই দুই রাজ্যের জল পাহাড়ি ঢাল বেয়ে সিলেটে নেমে আসছে। যার ফলে ক্রমশই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই অবস্থার অবনতি ঘটছে। এদিন সিলেট শহরের বেশ কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট জলের তলায়। একাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। হাঁটু সমান জল ভেঙেই সাধারণ মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে চলায় আপাতত জল নামার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
সিলেপটের জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘সিলেটের প্রধান নদী সুরমা কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জে অবশ্য জল আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে। কুশিয়ারা নদীর জল অমলসিদ পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাবেশ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’
