নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে তুলে নেওয়া হয়েছে কার্ফু। মঙ্গলবার  ঢাকার রাস্তায় নেমে মানুষ দেখলেন এক অন্যচিত্র। নিরাপত্তার জন্য রাস্তায়  নেই কোন পুলিশ। রাস্তায় যানবাহনও চলছে। কিন্তু মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও উদ্বেগ রয়েছে।

সন্ত্রাসী হামলার জেরে  এদিন সকালে দেখা গিয়েছে  সরেজমিন মোহাম্মদপুর থানা  পুরো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয় পুড়ে গিয়েছে  বেশ কিছু গাড়ি, আসবাবপত্র। থানার ভেতর থেকে ফ্যান, চেয়ার-টেবিলসহ সব ধরনের জিনিসপুত্র লুট হয়ে গেছে। জানা যায়, পুলিশি সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য থানা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়েছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মোহাম্মদপুর থানায় একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘থানার ভেতরে থাকা সকল অস্ত্র এবং গোলাবারুদ লুট হয়ে গেছে। তবে জেলের মধ্যে থাকা আসামিদের কোন ক্ষতি হয়নি।‘

এছাড়াও বাড্ডা এবং ভাটারা থানাতেও হামলার ঘটনা ঘটে। সবকটি থানা আগুন লাগান হয়।  থানার বাইরে রাখা সরকারি গাড়ি থেকে শুরু করে সবকিছুই পুড়িয়ে দেওয়া হয়। একের পর এক হামলার মুখে নিরাপত্তার কারণে থানা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়ে পুলিশ । প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিএনপি -জামায়াত সন্ত্রাসীরা।

উল্লেখ্য, সোমবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর পতন হয় তাঁর সরকারের। বাংলাদেশ ছেড়ে  তিনি আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আলোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় থানা, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ঘরবাড়ি, সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে  চলছে লুটপাটের ঘটনা।