নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: এ যেন অনেকটাই ফেলো কড়ি মাখো তেল। দেশে জ্বালানি সঙ্কট (Fuel Crisis) ক্রমশই চরমে উঠছে। আর সেই সঙ্কট থেকে পরিত্রাণ পেতে মন্ত্রী-আমলাদের পরে এবার পুলিশের জন্য বরাদ্দ তেল ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটল শেখ হাসিনা সরকার (Sk Hasina Government)। আগে প্রতি মাসে যে তেল বরাদ্দ করা হতো, তার চেয়ে ২৫ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বরাদ্দ কমানো হয়েছে। স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তেল বাঁচাতে তদন্তের কাজে বার বার গাড়ি নিয়ে ছুটে যাওয়া চলবে না। অপরাধী দমনের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালাতে হবে। তবে তেল বাঁচাতে গিয়ে অপরাধী দমন কিংবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার ক্ষেত্রে হোঁচট খেতে হবে বলে মনে করছেন প্রবীণ পুলিশ আধিকারিকরা।
শনিবার বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতর (Bangladesh Police Head Quarter) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে পুলিশ সুপারদের (Police Supdt.) গাড়ির জন্য মাসে ৪০০ থেকে ৪৫০ লিটার তেল বরাদ্দ ছিল। তা কমিয়ে ২০০ থেকে ২৫০ লিটার করা হয়েছে। আর পুলিশ সুপারের পদমর্যাদার নিচের আধিকারিকদের জন্য আগে মাসিক ৩০০ থেকে ৪০০ লিটার তেল বরাদ্দ ছিল। তা কমিয়ে ২০০ লিটার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশে কর্মরত আধিকারিকদের গাড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন ইউনিট ও থানার তেলের বরাদ্দ ২০ থেকে ৫০ শতাংশ কমানো হয়েছে। আচমকা তেলের বরাদ্দ কমে যাওয়ায় কার্যত তদন্তের কাজ চালানোর ক্ষেত্রে ছন্দপতন ঘটছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (Dhaka Metropolitan Police) পরিবহণ বিভাগের উপ কমিশনার (Deputy Commissioner) জোবায়েদুর রহমান (Zobaidur Rahaman) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘সরকারের শীর্ষ মহলের নির্দেশ মেনে জ্বালানি তেলের ব্যবহার ২০ শতাংশ হ্রাস করার জন্য বিভিন্ন থানা ও ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কতটা হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে, তা এক মাস না গেলে বলা সম্ভব নয়।’