এই মুহূর্তে




বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হল হাসিনা ঘনিষ্ঠ আরও ২ লেফটেন্যান্ট জেনারেলকে




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মুক্তিযুদ্ধপন্থী আধিকারিকদের নিশ্ছিহ্ন করার অভিযান চলছে। আগেই বরখাস্ত করা হয়েছিল মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান-সহ একাধিক আধিকারিককে। আর মঙ্গলবার তাড়ানো হল দুই লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার আধিকারিককে। ওই দুইজন হলেন সাইফুল আলম ও মুজিবুর রহমান। বরখাস্ত হওয়া দুই আধিকারিকই দেশত্যাগী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তার মধ্যে লেফটেন্যান্ট মুজিবুর রহমান গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারী জঙ্গিদের নিকেশ করেছিলেন।

গত ৫ অগস্ট পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসাবে পরিচিত সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের নেতৃত্বাধীন সেনা বিদ্রোহের মুখে পড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর জমানা বদলের পর থেকেই বেছে বেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে পাকিস্তান বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক সেনা আধিকারিকদের তাড়ানোর অভিযান শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সেনার পাকিস্তানিকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন আইএসআই এজেন্ট তথা সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান।

প্রথমে তাড়ানো হয় মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসানকে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমকে সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে বিদেশ মন্ত্রকে পাঠানো হয়। এর আগে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক এবং ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গত মঙ্গলবার আচমকাই বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় তাঁকে।

আর এক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। সেনা সদর দপ্তরে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব সামলেছিলেন মুজিবুর রহমান। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার সময় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক হয়েছিলেন মুজিবুর রহমান। প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা মনে করছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরবর্তী প্রধান হিসাবে পাকিস্তানের কোনও এজেন্ট যাতে দায়িত্ব পান সেই পথ প্রশস্ত করতেই সিনিয়র আধিকারিকদের তাড়ানো হচ্ছে।  




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে আটক বাংলাদেশের ‘জাকির নায়েক’ আজহারী

ঢাকার তাঁতীবাজারে পুজোমণ্ডপে পেট্রল বোমা-ছুরি নিয়ে হামলা, আহত ৪

আচমকাই ঢাকার রমনা কালী মন্দিরে ছুটে গেলেন বাংলাদেশের তিন বাহিনীর প্রধান, কী ঘটল?

ঢাকার গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশনে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন কুমারী পুজো

বাংলাদেশের যশোরেশ্বরী মন্দির থেকে চুরি মোদির দেওয়া মুকুট, ক্ষুব্ধ দিল্লি

ক্ষমা চেয়েও রেহাই পেলেন না, মিরপুর স্টেডিয়াম চত্বরে সাকিব বিরোধী গ্রাফিতি

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর