নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের দৌলতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার পরেই ভারতের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছুড়তে শুরু করেছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু ভারত নিত্যপ্রয়োজনীয়-সহ অন্যান্য পণ্য না পাঠালে না খেয়ে মররতে হবে বুঝতে পেরেই সুর নরম করলেন। ডিগবাজি খেয়ে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চান বলে জানিয়েছেন।

অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসার এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘নব্য সুদখোর মহাজন’ হিসাবে পরিচিত মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে তিনি বলেন, ‘যেসব সরকার প্রধানের সঙ্গে আমার টেলিফোনে যোগাযোগ হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আমরা ভারত এবং অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। ভারতের সঙ্গে আমরা ইতিমধ্যে বন্যা মোকাবিলায় উচ্চপর্যায়ের  দ্বিপক্ষীয়  সহযোগিতার আলোচনা শুরু করেছি। দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমি সার্ক রাষ্ট্র গোষ্ঠী পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছি।’

গত ৫ অগস্ট সেনা অভ্যুত্থানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইএসআই ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র দয়ায় অবৈধভাবে গঠিত সরকারের প্রধান হওয়ার পরেই প্রভুদের তুষ্ঠ রাখতে দিল্লির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন ‘সুদখোর’ ইউনূস। এমনকি তিস্তা চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নালিশ জানানোর হুমকি দিয়েছিলেন। আর তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছিল নয়াদিল্লি। চলতি মাসে নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভার ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন পাকিস্তানপ্রেমী ইউনূস। যদিও দিল্লির তরফে সেই অনুরোধে সাড়া দেওয়া হয়নি। উল্টে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং যুদ্ধের জন্য সেনা আধিকারিকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর সেই নির্দেশ দিতে গিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থার কথাওও তুলে ধরেছিলেন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ওই নির্দেশ শোনার পরেই রণংদেহী মনোভাব ছেড়ে ডিগবাজি খেয়ে দিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক চাওয়ার কথা জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান।