এই মুহূর্তে




ভারত ও হিন্দু বিরোধী প্রচার চালান, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ফতোয়া ইউনূসের প্রেস সচিবের




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশের হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ের প্রধান মুখ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী ওরফে চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারি নিয়ে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। ইতিমধ্যেই তরজায় জড়িয়ে পড়েছে দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রক।ওই তরজার মধ্যেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের ভারত ও হিন্দুত্ববাদ বিরোধী প্রচার জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ভারত বিরোধী প্রচার না চালালে সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। আর সেই হুমকির পরেই গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) থেকে ভারত ও হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে নিশানা করে ভুয়ো ও অসত্য খবর প্রকাশ করে চলেছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলি।

গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেই ক্ষমতায় আসীন হয় পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতপুষ্ঠ মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান কট্টর মৌলবাদী সংগঠন জামায়াত ইসলামীর অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা পাকিস্তানপ্রেমী শফিকুল আলম। প্রেস সচিব হওয়ার পরেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের কর্ণধারদের ডেকে মুক্তিযুদ্ধপন্থী হিসাবে পরিচিত সাংবাদিকদের সম্পাদক-সহ গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে হঠানোর নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, জুয়েল মাজহার, আলমগীর হোসেনদের মতো প্রথিতযশা সাংবাদিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে হাসান হাফিজের মতো কট্টর ভারত ও হিন্দু বিরোধীদের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের শীর্ষ পদে বসানো হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও মৌলবাদ বিরোধী হওয়ায় ইতিমধ্যেই চারশোর বেশি সাংবাদিককে ছাঁটাই করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের শীর্ষ পদ থেকে ভারত বন্ধু হিসাবে পরিচিত সাংবাদিকদের হঠানোর পরে এবার বাংলাদেশের মানুষের মনকে বিষিয়ে দিতে ভারত বিরোধী প্রোপাগাণ্ডা চালানোর জন্য সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের নির্দেশ দিয়েছেন ইউনূসের প্রেসসচিব। সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক ও মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শফিকুল। ওই বৈঠকেই তিনি নির্দেশ দেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের খবর ধামাচাপা দিতে হবে। সেই সঙ্গে ইসকন-সহ হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনকে জড়িয়ে অসত্য খবর প্রচার করতে হবে। ভারতের বিরুদ্ধে প্রচারকে তুঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সাংবাদিকদের ভারত ও হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন নিয়ে সরব হতে হবে। ভারতের বিরুদ্ধে দেশে বিভিন্ন জঙ্গি ও মৌলবাদী সংগঠনগুলি যে আন্দোলন শুরু করেছে, তা জোরালোভাবে প্রচার করতে হবে। প্রেসসচিবের নির্দেশের পরেই ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’, ‘যুগান্তর’, ‘মানবজমিন’, ‘ভোরের কাগজ’, ‘দৈনিক ইত্তেফাক’, ‘কালের কণ্ঠ’, ‘দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’, জামায়াত ইসলামীর মুখপত্র ‘দৈনিক ইনকিলাব’-সহ বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্র ভারত ও হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের বিরুদ্ধে কোমর কষে প্রচারে ঝাঁপিয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘দিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন’, ইউনূসের ডাকা বৈঠকে দাবি বিএনপি-জামায়াতের

বাবা হলেন মোস্তাফিজ, নিজেই পোস্টে জানালেন সুখবর!

মোল্লা ইউনূসের হিন্দু নিধন যজ্ঞকে আড়াল করতে আসরে নামলেন ‘মক্ষিরানী’ অপর্ণা

ভোটে কারচুপি করায় তিন বাংলাদেশিকে চরম শাস্তি দিল মার্কিন আদালত

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি, পাকিস্তানের কাছে F-16 যুদ্ধবিমান ভিক্ষা চাইলেন মোল্লা ইউনূস

নতুন স্টাইলে শাড়ি পরে চমকে দিলেন জয়া

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর