মমতা বাঘিনী হলে, আমিও বাঘ! আক্রমণ ওয়েসির
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে এলেন তিনি বাংলার বুকে ভোট প্রচারে। সভা করলেন মালদা আর উত্তর দিনাজপুরে। সেই সব সভা থেকেই তিনি আক্রমণ শানলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁকে লক্ষ্য করে কটাক্ষ হানা ছাড়াও ছুঁড়ে দিলেন একাধিক প্রশ্ন। তবে সব থেকে বড় প্রশ্নটা তিনি নিজেই ঝুলিয়ে রেখে দিলেন যা আরও একবার তাঁর আর তাঁর দলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। তিনি বাংলা মুলুকে ঠিক কার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এলেন, মমতার বিরুদ্ধে না বিজেপির বিরুদ্ধে, সেটাই খোলসা করলেন না। আর তার জেরেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূল মায় বামেরা তাঁকে আক্রমণ শানতে শুরু করে দিয়েছেন ‘বিজেপির বন্ধু’ বলে। তিনি আসাউদ্দিন ওয়েইসি, মিম সুপ্রিমো।
এদিন মালদা জেলার চাঁচোলে ও উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারে দুটি জনসভা করেন মিম প্রধান। দুটি সভা থেকেই তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন মমতাকে। বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে নয়। মমতার বিরুদ্ধে। ভোট কাটুয়া হয়েই বাংলার ভোটযুদ্ধে অবতারণা করেছে তাঁর দল। সংখ্যালঘু ভোট কেটে বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা করে দেওয়াই আসলে তাঁর মূল উদ্দেশ্য। এদিন ইটাহারের বিধিবাড়ি এলাকায় মিম প্রার্থী মোফাক্কেরুল ইসলামের সমর্থনে জনসভা করেন আসাদুদ্দিন। সেখানে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল মিমকে বিজেপির 'বি' টিম বলছে। অথচ বাংলায় ৮০ শতাংশ মুসলিম পরিবার মাসে পাঁচ হাজার, ৩৮ শতাংশ মুসলিম পরিবার মাসে আড়াই হাজার টাকা রোজগার করে। এছাড়া ১৩ শতাংশ মুসলিম বাসিন্দার একশো দিনের কাজের জবকার্ড রয়েছে। তাহলে বলুন, কে বিজেপির 'বি' টিম। বিজেপির 'বি' টিম তৃণমূলই। মমতা দিদি বলছেন, আমরা নাকি বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। কতটাকা নিয়েছি বলুন। যদি বলতে পারেন, তাহলে ৯০ শতাংশ টাকা ভাইপোকে পাঠিয়ে দেব। মমতাদি নিজেকে ব্রাক্ষ্মণ ও বাঘিনী বলে দাবি করে মুসলিমদের নীচে রাখার চেষ্টা করছেন। মমতা যদি বাঘিনী হন, তবে আমিও বাঘ। আমরা খেলতে প্রস্তুত।’
তবে মমতাকে আক্রমণ করার পাশাপাশি কিছুটা মুখ রক্ষার তাগিদেই তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ হেনেছেন। আক্রমণ নৈব নৈব চ। বলেছেন, ‘বিজেপি বলছে, বাংলায় বাংলাদেশী ভরে গিয়েছে। তৃণমূলই তো এরাজ্যে বিজেপিকে ঢুকিয়েছে। মমতাদি তো একসময়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ওঁরা একসঙ্গে চলে। এরাজ্য সংখ্যালঘুদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় শুভেন্দু অধিকারী আমায় নিয়ে গিয়েছিল, আর মমতা আমায় থ্যাঙ্কিউ বলেছিল। তাহলে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় মমতা ব্যানার্জি আপনিই বলুন আমায় কত টাকা দিয়েছিলেন? মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের পায়ের ফুটবল বানিয়ে ফেলেছে, যার জবাব মানুষ ভোটে দেবে বলে।’
আবার মালদার চাঁচোলে ওয়েইসি সভা করেছেন মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মিম প্রার্থী মতিউর রহমানের হয়ে। সেখানেও তাঁর আক্রমণের অভিমুখে ছিলেন মমতাই। সেখানে ওয়েইসি বলেন, ‘গত লোকসভা নির্বাচনে এআইএমআইএম বাংলায় লড়াই করেনি। তবে কেন উত্তর মালদায় মৌসম নূর হেরেছেন? কীভাবে বিজেপি রাজ্যে ১৮টি আসন পেল? কারণ তৃণমূলের লোক বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। এখন তৃণমূল বলছে আমি নাকি বিজেপিকে সাহায্য করতে লড়াইয়ে নেমেছি। এই নির্বাচনে আপনারা আমার ভাইকে ভোট দিন। আমার ভাইয়ের তৃণমূলের গুণ্ডাদের দেখে ভয় নেই।’ উল্লেখ্য গত বছর বিহারের নির্বাচনে মিম বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দিয়ে বিজেপি বিরোধী সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছিল। তার জেরে বেশ কিছু আসনে খুব কম ব্যবধানে হলেও পরাজিত হয়েছিল রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রার্থীরা। ওই ভোট কাটুয়া ফলাফলের জেরেই বিহারের ক্ষমতায় ফিরতে সক্ষম হয় বিজেপি-জেডিইউ জোট। তখন থেকেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এক ধার থেকে অভিযোগ তুলে চলেছে যে মিম প্রধান আদতে বিজেপির হাতেই তামাক খাচ্ছেন। ইচ্ছাকৃত ভাবে সংখ্যালঘু ভোট কেটে বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা করে দিতেই তিনি নানা রাজ্যে প্রার্থী দিচ্ছেন। এখন দেখার বিষয় মিম প্রধানের এই রণনীতি বাংলার বুকে সফল হয় না ব্যার্থ হয়।
এদিন মালদা জেলার চাঁচোলে ও উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারে দুটি জনসভা করেন মিম প্রধান। দুটি সভা থেকেই তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন মমতাকে। বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে নয়। মমতার বিরুদ্ধে। ভোট কাটুয়া হয়েই বাংলার ভোটযুদ্ধে অবতারণা করেছে তাঁর দল। সংখ্যালঘু ভোট কেটে বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা করে দেওয়াই আসলে তাঁর মূল উদ্দেশ্য। এদিন ইটাহারের বিধিবাড়ি এলাকায় মিম প্রার্থী মোফাক্কেরুল ইসলামের সমর্থনে জনসভা করেন আসাদুদ্দিন। সেখানে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল মিমকে বিজেপির 'বি' টিম বলছে। অথচ বাংলায় ৮০ শতাংশ মুসলিম পরিবার মাসে পাঁচ হাজার, ৩৮ শতাংশ মুসলিম পরিবার মাসে আড়াই হাজার টাকা রোজগার করে। এছাড়া ১৩ শতাংশ মুসলিম বাসিন্দার একশো দিনের কাজের জবকার্ড রয়েছে। তাহলে বলুন, কে বিজেপির 'বি' টিম। বিজেপির 'বি' টিম তৃণমূলই। মমতা দিদি বলছেন, আমরা নাকি বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। কতটাকা নিয়েছি বলুন। যদি বলতে পারেন, তাহলে ৯০ শতাংশ টাকা ভাইপোকে পাঠিয়ে দেব। মমতাদি নিজেকে ব্রাক্ষ্মণ ও বাঘিনী বলে দাবি করে মুসলিমদের নীচে রাখার চেষ্টা করছেন। মমতা যদি বাঘিনী হন, তবে আমিও বাঘ। আমরা খেলতে প্রস্তুত।’
তবে মমতাকে আক্রমণ করার পাশাপাশি কিছুটা মুখ রক্ষার তাগিদেই তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ হেনেছেন। আক্রমণ নৈব নৈব চ। বলেছেন, ‘বিজেপি বলছে, বাংলায় বাংলাদেশী ভরে গিয়েছে। তৃণমূলই তো এরাজ্যে বিজেপিকে ঢুকিয়েছে। মমতাদি তো একসময়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ওঁরা একসঙ্গে চলে। এরাজ্য সংখ্যালঘুদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় শুভেন্দু অধিকারী আমায় নিয়ে গিয়েছিল, আর মমতা আমায় থ্যাঙ্কিউ বলেছিল। তাহলে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় মমতা ব্যানার্জি আপনিই বলুন আমায় কত টাকা দিয়েছিলেন? মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের পায়ের ফুটবল বানিয়ে ফেলেছে, যার জবাব মানুষ ভোটে দেবে বলে।’
আবার মালদার চাঁচোলে ওয়েইসি সভা করেছেন মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মিম প্রার্থী মতিউর রহমানের হয়ে। সেখানেও তাঁর আক্রমণের অভিমুখে ছিলেন মমতাই। সেখানে ওয়েইসি বলেন, ‘গত লোকসভা নির্বাচনে এআইএমআইএম বাংলায় লড়াই করেনি। তবে কেন উত্তর মালদায় মৌসম নূর হেরেছেন? কীভাবে বিজেপি রাজ্যে ১৮টি আসন পেল? কারণ তৃণমূলের লোক বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। এখন তৃণমূল বলছে আমি নাকি বিজেপিকে সাহায্য করতে লড়াইয়ে নেমেছি। এই নির্বাচনে আপনারা আমার ভাইকে ভোট দিন। আমার ভাইয়ের তৃণমূলের গুণ্ডাদের দেখে ভয় নেই।’ উল্লেখ্য গত বছর বিহারের নির্বাচনে মিম বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দিয়ে বিজেপি বিরোধী সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছিল। তার জেরে বেশ কিছু আসনে খুব কম ব্যবধানে হলেও পরাজিত হয়েছিল রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রার্থীরা। ওই ভোট কাটুয়া ফলাফলের জেরেই বিহারের ক্ষমতায় ফিরতে সক্ষম হয় বিজেপি-জেডিইউ জোট। তখন থেকেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এক ধার থেকে অভিযোগ তুলে চলেছে যে মিম প্রধান আদতে বিজেপির হাতেই তামাক খাচ্ছেন। ইচ্ছাকৃত ভাবে সংখ্যালঘু ভোট কেটে বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা করে দিতেই তিনি নানা রাজ্যে প্রার্থী দিচ্ছেন। এখন দেখার বিষয় মিম প্রধানের এই রণনীতি বাংলার বুকে সফল হয় না ব্যার্থ হয়।
Leave A Comment