বর্ষা মানে ইলিশ। বর্ষা মানে চিংড়ি। আর হাত কবজি পর্যন্ত চাঁটতে চাঁটতে ঘটি- বাঙালের ঝগড়া। তবে যদি ঘটি ও বাঙাল যুগল হয়ে যায়? তবে রেসিপিতে (RECIPE) বদল আসতে বাধ্য। আর বৃষ্টির মরশুমে সেই প্রেমকে চাগাড় দিতেই ইলিশ ও চিংড়ি- একই রেসিপিতে। নাম ‘কাপল ডিশ’।
উপকরণ: ইলিশ মাছ ২ টুকরো, ১৫০ গ্রাম কুচো চিংড়ি, সরষা বাটা ২ টেবিল চামচ, ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা, হাফ চামচ আদা, হাফ চামচ রসুন, দেড় কাপ সরষা তেল, পোস্ত ১ চামচ, ৮ টি কাঁচা লঙ্কা, নুন পরিমাণ মত এবং দেড় চামচ হলুদ, অল্প পাঁচ ফোড়ন, অল্প ধনে পাতা।
প্রণালী: ১ কাপ তেলের মধ্যে সরষা বাটা নিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, বাটা পোস্ত ও আদাবাটা এবং হলুদ, জিরা ও নুন মিশিয়ে নিন। তারপর হাত দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিন। এরপরে ইলিশের টুকরোগুলোতে ভালো করে সেই পেস্ট মাখিয়ে দিন। এরপরে একটা পাত্রে তা ঢাকা দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট মত।
এবারে গরম প্যানে এক কাপের একটু কম সরষের তেল দিয়ে তাতে পাঁচফোড়ন ফেলে দিন। তারপরে মাখানো মাছ দিয়ে দিন প্যানে। বাকি পেস্ট টুকুও ঢেলে দিন। তারপর প্যানের ঢাকনা আঁচ বুঝে অপেক্ষা করুন প্রায় ৭-৮ মিনিট। এরপরে শুধু একবার মাছগুলোকে উল্টে দিন।
এবারে অন্য একটি কড়াইয়ে অল্প সরষের তেল দিয়ে কুচো চিংড়ি গুলি দিয়ে দিন। অল্প পরিমাণ হলুদ গুঁড়ো ফেলে দিন কড়াইতে। স্বাদ মত দিন নুন। এরপরে অল্প লালচে করে ভেজে নিন কুচো চিংড়ি।
পরিবেশন: একটা বড় প্লেটে ভালো করে সরষে ইলিশের কাই দিয়ে ফেলুন। তারপর সাবধানে প্লেটের ওপরে রাখুন ২ পিস ইলিশ। এরপরে প্লেট জুড়ে ছড়িয়ে দিন গরম গরম কুচো চিংড়ি। মনে রাখবেন বেশ কয়েক পিস চিংড়ি যেন ছড়িয়ে পড়ে ২ পিস ইলিশের ওপরেও। আর প্লেটের ধারে রেখে দিন কুচো ধনেপাতা। এরপরে কাঁচা লঙ্কাগুলিকে মাছ বরাবর চিরে নিন। প্লেটের চারিধারে গোল করে রেখে দিন সেই চেরা লঙ্কাগুলিকে।
ব্যাস! প্রস্তুত খুনসুটির ইলিশ- চিংড়ি ‘কাপল ডিশ’।