নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশে ক্রমশই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দাপট দেখিয়ে চলেছে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। আর প্রাণঘাতী ভাইরাসের অতি সংক্রামক প্রজাতির হাত থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব স্কুল-কলেজ ফের বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পড়াশোনার ক্ষেত্রে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য অনলাইনে ক্লাস হবে।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি বিধি-নিষেধ আরোপ হয়েছে। কিন্তু তাতে মারণ ভাইরাসের বেলাগাম সংক্রমণে রাশ টানা যায়নি। বৃহস্পতিবারই দেশে করোনা সংক্রমণ এগারো হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার মুখে পৌঁছেছে। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি শনাক্তের হারও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ইতিমধ্যেই করোনার ওমিক্রন প্রজাতির থাবা থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে। ক্রমশই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জোরালো হয়ে উঠছে।
শুক্রবার আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে শেষ পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ২১ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সরকারি, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ কিংবা অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জড়ো হতে পারবেন না। অনুষ্ঠানে যাঁরা যোগ দেবেন তাঁদের অবশ্যই করোনার টিকা নেওয়ার শংসাপত্র থাকতে হবে।
করোনার সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে টিকাকরণের উপরেও বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকারি অফিসের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও কলকারখানায় কর্মরতদের মধ্যে যাঁরা এখনও টিকা নেননি, তাঁদের অবিলম্বে টিকা নেওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।