আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আঁতুরঘরে চিনে ফের তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে করোনাভাইরাস। গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি নাগরিকের শরীরে মারন ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে শি চিনফিংয়ের দেশে কখনই একদিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি। ফলে অশনিসঙ্কেত দেখছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রাণঘাতী ভাইরাসের বেনজির তাণ্ডব রুখতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি শহরে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তার পর গোটা বিশ্বেই থাবা বসিয়েছে ৬০ ন্যানোমিটারের অদৃশ্য শত্রু। ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের একাধিক দেশ মারণ ভাইরাসের বেলাগাম সংক্রমণে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডও ভেঙে গিয়েছে অনেক দেশের। যদিও আঁতুরঘর চিনে তেমন দাপট দেখাতে পারেনি করোনা।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশে যখন মারণ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে, তখন চিনে নতুন করে তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে। শনিবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫২৩ জন। তার মধ্যে এক হাজার ৪৮ জনের শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। বাকি ৪৭৬ উজনের শরীরে মৃদু উপসর্গ শনাক্ত হয়েছে। পাঁচজনকে প্রথমে উপসর্গহীনের তালিকায় রাখা হলেও পরে তাদের শরীরে উপসর্গ ধরা পড়ে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর অন্যতম উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জিলিন। ইতিমধ্যেই সংক্রমণ রুখতে ব্যর্থ হওয়ায় জিলিন শহরের মেয়র ও প্রাদেশিক রাজধানী চাংচুনের এক জেলা প্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চাংচুন ও জিলিনে ইতিমধ্যেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। চাংচুনের ৯০ লক্ষ বাসিন্দাকে ঘরবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।