নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সব চেষ্টাই জলে যাচ্ছে। সময় যত গড়াচ্ছে ততই দেশে লাগামছাড়া সংক্রমণ ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৫০০ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁরিয়েছে ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি চার জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বুধবারই জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সতর্ক করা হয়েছে।
এদিন বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, ‘গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৫০০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হলেন ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জন। আর করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৭৩ জন। এখনও পর্যন্ত করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হলেন ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৮ জন।’
দেশে করোনার সংক্রমণ কতটা লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রিপোর্টেই তা স্পষ্ট। গত এক সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্তের সংখ্যা ২২৮ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মৃত্যু ১৮৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে নতুন করে মারণ ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৪০৫ জন। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৩ হাজার ৯৩১ জন বেশি। প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭ জন। মৃত্যু বেড়েছে ১৮৫ শতাংশেরও বেশি।’
অন্যদিকে দেশে করোনার সংক্রমণ বেলাগাম হয়ে ওঠায় আগামী এক মাসের জন্য সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরকারী আইনজীবী ইউনুছ আলি আকন্দের বক্তব্য, ‘দেশে যেভাবে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে, তাতে ছোট শিশুদের বাঁচাতে অন্তত এক মাসের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা উচিত। শিক্ষামন্ত্রী যেহেতু এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেননি, তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’