নিজস্ব প্রতিনিধি: জাপান, আমেরিকা সহ পাঁচ দেশে করোনা সংক্রমণ বেলাগাম হয়ে উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। মারণ ভাইরাসের তাণ্ডব রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামনেই যেহেতু বড়দিন, নিউ ইয়ারের মতো উৎসব রয়েছে তাই করোনার উপরে নজরদারি বাড়াতে বুধবার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার ওই নির্দেশের পরেই প্রাণঘাতী ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে কোন দাওয়াই প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে আগামিকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনে জরুরি বৈঠকে বসছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ওই বৈঠকে যোগীরাজ রায় সহ একাধিক বিশিষ্ট চিকিৎসককে ডাকা হয়েছে।
বুধবারই দেশে চার জনের শরীরে চিনে তাণ্ডব চালানো করোনা প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। ফলে উদ্বেগ অনেকটাই বেড়েছে। যেহেতু আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে তাই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ যে কোনও সময়ে বেলাগাম হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যদিও পশ্চিমবঙ্গে এখনও করোনা সংক্রমণ যথেষ্টই নিয়ন্ত্রণে। স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণঘাতী ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র একজন। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ হাজার ২৮৭ জনের। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ০২ শতাংশ। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা মাত্র ৪০।’
কিন্তু ওই স্বস্তির পরিসংখ্যানে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা। কথায় বলে, সাবধানের মার নেই। তাই নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি মাস্ক পরা সহ, ফের করোনা বিধি মেনে চলার উপরে জোর দেওয়ার জন্য রাজ্যের সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দিতে চলেছেন তাঁরা। যেহেতু সামনে বড়দিন, নিউ ইয়ার ও গঙ্গাসাগর মেলা রয়েছে, তাই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।