নিজস্ব প্রতিনিধি: চিনে কোভিড(Covid) পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যেই তার একটা ধাক্কা পড়তে চলেছে এদেশেও। সেক্ষেত্রে বাংলাও(Bengal) বাদ যাবে না সেই কোভিড ঢেউ থেকে। কেন্দ্র এবং রাজ্য কেউই আর নতুন করে লকডাউনের পথে হাঁটতে চায় না। তবে কোভিডের সংক্রমণ ঠেকাতে দুই সরকারই প্রয়োজনে কড়া বিধি নতুন বছরে ফের লাগু করতে পারে। আর সেই সূত্রেই জানা গিয়েছে নতুন ইংরেজি বছরের বাংলার বুকে ফের ফিরতে পারে মাস্ক বিধি(Mask Must)। না মানলে জরিমানা, প্রয়োজনে গ্রেফতারি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) চান না এখনই সেই কড়াকড়ির পথে হাঁটতে। তাঁর অনুরোধ আমজনতাকে যেন তাঁরা এখন থেকেই কোভিড নিয়ে যেন সতর্ক হন। একই সঙ্গে নবান্ন(Nabanna) সূত্রে এটাও জানা গিয়েছে, কোভিডের ঢেউ ঠেকাতে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০ লক্ষ ডোজ কোভিশিল্ড, ৫ লক্ষ নেজাল ভ্যাকসিন এবং ১ লক্ষ ডোজ কোভ্যাকসিন চেয়ে পাঠিয়েছে। কেন্দ্র তা পাঠাবার আশ্বাসও দিয়েছে।
আর পড়ুন Covid-19: আগামী ৪০ দিন ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতের জন্য আগামী দেড় মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা চিন সহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে যখনই কোভিড মাথাচাড়া দিয়েছে তখনই তার এক দেড় মাসের মধ্যে ভারতেও দাপট দেখাতে শুরু করে দিয়েছে। তাই আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই বোঝা যাবে এদেশে কোভিড নতুন করে তান্ডব চালাতে পারবে কী পারবে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সংক্রমণ ও টিকাকরণের ফলে এ দেশের অধিকাংশ মানুষের শরীরে যে হেতু ‘মিশ্র’ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, তাই কোভিডের নতুন ঢেউ এলেও এ বারের ভাইরাস অতীতের ডেল্টা প্রজাতির মতো ঘাতক হবে না। আমজনতা সংক্রমিত হলেও মূলত বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে যাবেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কিংবা মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে অনেক কম। তা সত্ত্বেও বুস্টার নেওয়া, হাত ধোয়া, ভিড়ে মাস্ক ব্যবহারের মতো সতর্কতার কোনও বিকল্প এখনও নেই। পাশাপাশি অসুস্থ, বয়স্ক এবং তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগীদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হতে হবে।
আরও পড়ুন চিন-সহ ছয় দেশের যাত্রীদের জন্য করোনা নেগেটিভের শংসাপত্র বাধ্যতামূলক
ঘটনা হচ্ছে কলকাতা সহ কার্যত গোটা রাজ্যেই এখন মাস্ক ব্যবহার নগণ্য পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। স্যানিটাইজার বিক্রিও কার্যত তলানিতে। কিন্তু কোভিডের নয়া ঢেউ এলে আবারও মাস্ক বিধি লাগু করার পথে হাঁটা দিতে পারে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কিন্তু অর্থনীতির কথা ভেবেই লকডাউনের পথে আর হাঁটতে চাইছেন না তাঁরা। এমনকি মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের দেখানো পথে ধরে দেশে এখনই কোনও কড়া বিধিনিষেধ লাগু করতে চাইছে না মোদি সরকার। পরিবর্তে কোভিডের ঢেউকে রুখতে জোর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সচেতনতার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। তবে বাংলার ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে যে এ রাজ্যের মাত্র ২৬ শতাংশ মানুষই এখনও পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। সেই হিসাবে রাজ্যের আরও প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষের বুস্টার নেওয়ার কথা। তাই নবান্ন থেকে এখন জোর দেওয়া হয়েছে বুস্টার ডোজ দেওয়া ও নেওয়ার দিকেই।