নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বছরের শেষ প্রান্তে আচমকাই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। জাপান, আমেরিকা, চিন সহ একাধিক দেশে বেলাগাম হয়ে উঠেছে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ। দেশে করোনার নতুন ঢেউ রুখতে উৎসবের মরসুমে ফের মাস্ক ব্যবহারই প্রধান দাওয়াই করল কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জনবহুল স্থানে ফের মুখোশ পরতে হবে। প্রতিদিন করোনায় যারা আক্রান্ত হবেন তাঁদের জিনোম সিকোয়েন্স করা বাধ্যতামূলক।
জাপান, চিন সহ পাঁচ দেশে করোনা বেলাগাম হয়ে ওঠায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা। যেহেতু আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হয়েছে তাই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা। এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিক ও কোভিড বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে পাঁচ দেশে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে ওই দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের উপরে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। পাশাপাশি সামনেই যেহেতু বড়দিন, থার্টি ফার্স্ট ও নিউ ইয়ার রয়েছে তাই করোনা পরিস্থিতির অবনতি যাতে না ঘটে তার জন্য জনবহুল স্থানে মাস্ক পরার উপরেও জোর দেওয়া হবে।
বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশবাসীকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘করোনাভাইরাস এখনও নির্মূল হয়নি। ফলে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সতর্ক থাকতে হবে এবং বাড়তি নজরদারি চালাতে হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।’