নিজস্ব প্রতিনিধিঃ লং কোভিড, যার জের থাকছে দীর্ঘদিন। আইসোলেশনের ১৪ দিন পর তা সাময়িকভাবে কমে গেলেও তার প্রভাব থাকছে শরীরে। এর ফলে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কিডনি থেকে মস্তিস্ক, ফুসফুস সবকিছুই। আর এই কোভিডকালে জন্ম হচ্ছে যে শিশুদের তাদের শারীরিক অবস্থা হচ্ছে আরও উদ্বেগজনক। একটি গবেষণায় সেই তথ্যই উঠে এসেছে। সম্প্রতি ২৫৫ জন সদ্যজাতকে এক গবেষণার জন্য বেছে নিয়েছিলেন গবেষকরা। তার মধ্যে ১৪৪ জন সদ্যজাতর মা অন্তঃসস্ত্বা থাকাকালীন করোনায় আক্রান্ত হন। আর যেসব মায়েরা অন্তঃসস্ত্বা থাকাকালীন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের সন্তানদের মস্তিস্ক ও স্নায়ু ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাঁদের সন্তানদের মস্তিস্কের বিকাশ অন্যান্য শিশুদের তুলনায় অনেক কম হচ্ছে বলেই মত অভিজ্ঞমহলের।
এইধরণের সমস্যা কতদিন থাকবে, কিংবা জন্মের কতদিন পর থেকে শিশুর সঠিক বিকাশ ও স্নায়ুর বিকাশ হবে তা এখনও সঠিকভাবে বলতে পারছেন না গবেষকরা। মাতৃত্বকালীন সময়ে করোনা আক্রান্ত হলে গর্ভের শিশুর বিকাশে কোনও প্রভাব না পড়লেও জন্মের পর শিশুদের বিকাশের পথে তা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিশুরা তো বটেই এর পাশাপাশি অন্যান্য করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তিরাও সুস্থ হয়ে যাওয়ার অনেক পরেও নানা শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছেন। কাজেই এর মেয়াদ যে দীর্ঘস্থায়ী তা সকলেরই অবগত। এতদিন আমরা জানতাম যে করোনার ফলে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ফুসফুস। কিন্তু না, গবেষণা বলছে লং কোভিডের জেরে কিডনি নাকি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই যাঁরা ইতিমধ্যেই কিডনির নানা সমস্যায় জর্জরিত তাঁদের অভিজ্ঞমহল বিশেষভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।