নিজস্ব প্রতিনিধি: উদ্বেগ বাড়িয়ে রাজ্যে করোনার (Coronavirus) সংক্রমণ হার (Positivity Rate) এক লাফে ১০ শতাংশের দোরগোড়ায় পৌঁছল। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার (Positivity Rate) দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হারের পাশাপাশি দৈনিক সংক্রমণও (Daily Case) আগের দিনের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫১ জন। তবে মারণ ভাইরাসে নতুন করে কারও প্রাণহানি ঘটেনি। অ্যাকটিভ কেসের (Active Case) সংখ্যা বেড়ে চার হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে।
গতকাল রবিবারই রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ আগের দিনের চেয়ে ঊর্ধ্বমুখী হলেও শনাক্তের হার অনেকটা কমে ৫ শতাংশের ঘরে দাঁড়িয়েছিল। ফলে খানিকটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সেই স্বস্তি উধাও। এক লাফে সংক্রমণ হার যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে অশনিসঙ্কেতই দেখছেন তাঁরা।
সোমবার রাতে স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) পক্ষ থেকে প্রকাশিত দৈনিক করোনা সংক্রান্ত বুলেটিনে (Covid Status) জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৫ হাজার ৭৬৯টি নমুনা পরীক্ষা (Sample Test) করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশে। যার ফলে আরও ৫৫১ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হলেন ২০ লাখ ২৫ হাজার ৫২৩ জন। নতুন করে কারও প্রাণহানি না হওয়ায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ২১৬ জন-ই রয়েছে।’
দৈনিক সংক্রমণ ও শনাক্তের হারের পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪৮ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ২০ লক্ষ ২২৭ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৭৫ শতাংশে। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে চার হাজার ৮০ জন।’