নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে কার্যত লুকোচুরি খেলায় মেতেছে করোনা সংক্রমণ। একদিন সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী তো পরের দিনই নিম্নমুখী। পরের দিন আবার ঊর্ধ্বমুখী। আর করোনার এই মুহুর্মুহু বদলে কার্যত দিশেহারা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। বুধবারই রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও শনাক্তের হার এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছিল। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে অবশ্য স্বস্তি ফিরল। দৈনিক সংক্রমণ ও শনাক্তের হার আগের দিনের চেয়ে নিম্নমুখী। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন। আর পজিটিভিটি রেট কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে নতুন করে অবশ্য কারও মৃত্যু হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। একদিনে নতুন করে ১০ হাজার ২৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশে। যার ফলে আরও ৩৪ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ১৫৩ জন। নতুন করে কারও মৃত্যু না হওয়ায় রাজ্যে করোনার মৃত্যুমিছিল ২১ হাজার ২০১ জনেই থমকে রয়েছে।’
দৈনিক সংক্রমণ ও শনাক্তের হার স্বস্তি দিলেও সুস্থতার হার অস্বস্তি বাড়িয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা কম হওয়ায় অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই সুস্থতার হারও কমেছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২১ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫১ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৯৩ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়েছে ১৩টি। ফলে ফের সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা তিনশোর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০১ জনে।’