নিজস্ব প্রতিনিধি: সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ চিত্রের উন্নতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় শুধু দৈনিক সংক্রমণই কমেনি, দৈনিক মৃত্যুও হ্রাস পেয়েছে। স্বস্তি দিয়ে কমেছে শনাক্তের হারও। একদিনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ৩৬ জন আর শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট কমে দাঁড়িয়েছে সাত দশমিক ১২ শতাংশে। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে যুগ্মভাবে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা। আর দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে উঠে এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। নতুন করে আরও ৬৩ হাজার ১২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে সাত দশমিক ১২ শতাংশে। ৪ হাজার ৪৯৪ জনের শরীরে নতুন করে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার ২৮৫ জনে। প্রাণঘাতী ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২০ হাজার ৪১১ জন।’
সোমবার কলকাতায় করোনা সংক্রমণের কিছুটা উন্নতি হলেও গত ২৪ ঘন্টায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯১ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন সাত জন। উত্তর ২৪ পরগনায় অবশ্য সংক্রমণ চিত্রের সামান্য উন্নতি হয়েছে। একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৮৩ জন। জেলাতে মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। কলকাতার লাগোয়া জেলায় একদিনে মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন নয়জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৩ জন। হাওড়া ও হুগলিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন যথাক্রমে ১৪৪ ও ২০৯ জন। পূর্ব বর্ধমানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৭ জন। পশ্চিম বর্ধমানে অবশ্য দৈনিক সংক্রমণ একশোর গণ্ডির নিচে নেমেছে।
দৈনিক সুস্থতার হার ক্রমশই আশার আলো দেখাচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ হাজার ৮২৫ জন। অর্থাৎ দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে দৈনিক সুস্থতার হার চার গুণের বেশি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৮০৬ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ দশমিক ৯১ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ১৪ হাজার ৩৬৭টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ১৬৮ জনে।