নিজস্ব প্রতিনিধি: নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়তেই রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ জন। তবে দৈনিক সংক্রমণ সামান্য বাড়লেও স্বস্তি দিচ্ছে শনাক্তের হার ও দৈনিক মৃত্যু। আগের দিনের তুলনায় শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশে। আর মারণ ভাইরাসের ছোবলে কেউ প্রাণ হারাননি। ফলে এ নিয়ে টানা সাতদিন করোনায় মৃত্যুহীন দিন কাটাল বাংলা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। নতুন করে আরও ১৪ হাজার ৩২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশে। নতুন করে আরও ৪৫ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের নমুনা ধরা পড়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৭৮ জনে। নতুন করে কারও শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত না হওয়ায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ১৯৭ জনই রয়েছে।’
স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হারও। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছেন অর্থাৎ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬০ জন। এ নিয়ে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৪১৬ জন। সুস্থতার হার অবশ্য ৯৮ দশমিক ৯২ শতাংশই রয়েছে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ১৫টি। যার ফলে রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬৫ জনে।’
মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিততে জোরকদমে চলছে করোনার টিকাকরণের কাজ। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও তিন লাখ ২৩ হাজার ৬৫১ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৭ কোটি ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪৪ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ৯৯ লাখ ৫ হাজার ৪৩৫ জন। আর বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭০ জন।’