নিজস্ব প্রতিনিধি: সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। ফের পাঁচ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। তবে দৈনিক মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েছেন ৩৪ জন।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। নতুন করে ৬৭ হাজার ৮৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে সাত দশমিক ৩৪ শতাংশে। নতুন করে চার হাজার ৯৬৯ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ১৯ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৪ জন। পাশাপাশি মারণ ভাইরাসের মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন ৩৪ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২০ হাজার ৪৪৫ জন।’
গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে কলকাতাকে ডিঙিয়ে রাজ্যে ফের শীর্ষে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাটিতে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯৭ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন সাত জন। কলকাতা মহানগরীতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৫৪ জন। মারা গিয়েছেন ৬ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৯ জন। একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়া ও হুগলিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ১৪৫ ও ২০৭ জন। জলপাইগুড়িতে গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন।
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ হাজার ৭৩৪ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাকে জয় করলেন ১৮ লক্ষ ৯১ হাজার ৪৪০ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ১২ হাজার ৭৯৯টি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৩৬৯ জনে।’