নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে কিছুতেই থামছে না করোনা সংক্রমণের ঝড়। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও ঊর্ধ্বমুখী দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ১৫৫ জন। আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সংক্রমিত হয়েছিলেন ২১ হাজার ৯৮ জন। অর্থাৎ ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে হাজারের বেশি বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুও বেড়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ জন। তবে স্বস্তি মিলেছে পজিটিভিটি রেটে। গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার আগের দিনের তুলনায় কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৮৬ শতাংশে।
বুধবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। একদিনে আরও ৭১ হাজার ৭৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৮৬ শতাংশে। যার ফলে ২২ হাজার ১৫৫ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ জনে। একই সময়ে করোনার ছোবলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ২৩ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১৯ হাজার ৯৫৯ জন।’
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা আর দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনা। কলকাতায় গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ফের সাত হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৬০ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন। কলকাতার লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩২৬ জন আর মৃত্যু হয়েছে আটজনের। হাওড়ায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ৩৬১ জন। হুগলিতে এক হাজার ১০৭ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক হাজার ৪৬১ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পশ্চিম বর্ধমানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ১০ জন।
করোনার দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কিছুটা হলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ১১৭ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাকে জয় করলেন ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৭৫ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯২ দশমিক ৫১ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস বেড়েছে ১৪ হাজার ১৫টি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ২৫১ জনে।’