নিজস্ব প্রতিনিধি: চতুর্থীর দিনেই রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ সামান্য কমেছে। একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৭৬ জন। তবে দৈনিক সংক্রমণ কমলেও দৈনিক মৃত্যু ফের ঊর্ধ্বমুখী। করোনার ছোবলে গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনায়। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলায় মারা গিয়েছেন চার জন। কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ ক্রমশই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। গত ২৪ ঘন্টায় কল্লোলিনী তিলোত্তমায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬২ জন।
গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। শুধু যে দৈনিক সংক্রমণ সাতশোর গণ্ডি ছাড়িয়ে চলেছে তাই নয়, শনাক্তের হারও ২ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ফলে অনেকটাই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। উৎসব ঘিরে ইতিমধ্যেই যেভাবে পথে নেমেছেন আমজনতা এবং পুজো মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছেন তাতে সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ৩৬ হাজার ৪২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় ৭৭৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যার ফলে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫৭৭ জনে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ১৩ শতাংশে। একদিনে করোনার মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন ১২ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১৮ হাজার ৮৯৪ জন।’
পাশাপাশি রাজ্যে ক্রমশই বাড়ছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৫৫ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৯ জনে। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়েছে ৯টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬৩৪ জনে।’