নিজস্ব প্রতিনিধি: জুম্মাবারের নামাজ পড়তে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হল গুরুগ্রামে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার গুরুগ্রামের একটি মসজিদে যখন নামাজ পড়া হচ্ছিল তখনই মসজিদে গিয়ে চড়াও হন একদল দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠীর সমর্থক। ‘নামাজ বন্ধ কর’ শ্লোগান তুলে তাঁরা মসজিদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তের মধ্যেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। ওই উত্তেজনা রুখতে ঘটনাস্থলে আসেন বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের হস্তক্ষেপেই বিক্ষোভকারীরা পিছু হটেন। এই ঘটনায় গুরুগ্রাম পুলিশ ৩০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছেন বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরগাঁওয়ের সেক্টর ৪৭ এলাকায় এক মসজিদে যখন শুক্রবার অর্থাৎ জুম্মাবারের নামাজ পড়া হচ্ছিল তখনই ওই মসজিদে চড়াও হন একদল বিক্ষোভকারী। আরও জানা যাচ্ছে ওই দক্ষিণপন্থী বিক্ষোভকারীদের প্রত্যেকের হাতেই ছিল নামাজের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ শ্লোগান লেখা প্ল্য়াকার্ড। কোনও প্ল্য়াকার্ডে লেখা ছিল ‘গুরগাঁও প্রশাসন ঘুম থেকে জেগে ওঠো।’ কোথাও আবার লেখা ছিল ‘নামাজ পড়া বন্ধ কর।’ বিক্ষোভকারীরা মুখেও ‘নামাজ পড়া বন্ধ কর’ শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। এরপরেই বিক্ষোভের প্রতিবাদে সরব হন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। পরিস্থতি অগ্নিগর্ভ হলে ঘটনাস্থলে আসেন বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রেফতার করা হয় ৩০ জনকে।
যদিও পুলিশের দাবি ওই এলাকায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এই সম্পর্কে গুরগাঁওয়ের এসডিএম অনীতা চৌধুরী জানান, ‘এখন এই এলাকা শান্তিপূর্ণই রয়েছে। যারা নমাজে বাধা সৃষ্টি করছিল তাঁদের আটক করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ওই এলাকায় এই ধরণের ঘটনা নতুন নয়। দিন কয়েক আগেও ঠিক এইভাবেই নামাজ পড়ার সময়ে বাধা দেওয়া হয়েছিল। মসজিদে যখন নামাজ পড়া হচ্ছিল তখনই ঘটনাস্থলে এসে একদল বিক্ষোভকারী ‘জয় শ্রী রাম’ শ্লোগান দিতে থাকেন। কিন্তু সেই সময়ে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি পুলিশের পক্ষে, কারণ পুলিশ আসার আগেই বিক্ষোভকারীরা পালিয়ে যান।