-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 8:16 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাত বছর বয়সী পালিত কন্যাকে রান্নার ধাতব সরঞ্জাম গরম করে ছ্যাঁকা দেওয়া ও লাগাতার অত্যাচারের অভিযোগে এক ৫০ বছর বয়সী নার্স ও তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। এর আগে ওই শিশুর উপর অত্যাচারের অভিযোগে দম্পতির ছেলে জনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিযুক্ত নার্স এবং তাঁর স্বামী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত নার্স রেনু কুমারী (Renu Kumari) এবং তাঁর স্বামী আনন্দ কুমার (Anand Kumar) সাত বছর বয়সী শিশুকন্যার উপর লাগাতার শারীরিক অত্যাচার চালাতেন। শিশুটিকে তাঁরা দত্তক নিয়েছিলেন। অভিযোগ, দত্তক নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই শিশুটির উপর অত্যাচার করা শুরু করেন তাঁরা। ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে শীতের রাতে শিশুটিকে কোনও কাপড় ছাড়া খোলা ছাদে শুতে বাধ্য করা হত। পাশাপাশি চলত রান্নার জন্য ব্যবহৃত টং দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার পালা। নির্যাতিত শিশুর অভিযোগ, একটি ছুরি দিয়ে তার জিভও কেটে দেওয়া হয়। গরম জলের পাত্রে শিশুকে নামিয়ে প্রতিদিন মারধরও করতেন ওই ৫০ বছর বয়সী নার্স এবং তাঁর স্বামী। অভিযুক্ত রেনু কুমারী কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে কর্মরত। পুলিশ আরও জানিয়েছে, দিল্লি পুলিশের তরফে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। নির্যাতিত শিশুটির দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ১৮টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, সাত বছর বয়সী শিশুটি প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলের এক শিক্ষিকা একদিন তাঁর দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। এরপর সেই শিক্ষিকা দিল্লির আর কে পুরম থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান। শিক্ষিকার অভিযোগ পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত নার্স সম্পর্কে শিশুটির মাসি বলে জানা গিয়েছে।