নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো যাত্রার মাঝেই কংগ্রেস শিবিরে বড় ধরনের ভাঙন। দলের প্রবীণ নেতা তথা রাজস্থানের দায়িত্বে থাকা অজয় মাকেন ইস্তফা দিয়েছেন। কংগ্রেস প্রদেশ ও শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট মাকেন। অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী অশোক গৌহলতের ভূমিকাতেও। মাকেন জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী পদে গৌহলত ইস্তফা দিতে অস্বীকার করেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকেই তিনি কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও দলের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে মুখ্য়মন্ত্রী পদে গৌহলতকে ইস্তফা দিতে হবে। মাকেনের আরও অভিযোগে, প্রদেশ কংগ্রেস একটি বৈঠক ডেকেছিল। সেই বৈঠকে গৌহলত এবং তাঁর শিবিরের লোকেরা অনুপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল, গৌহলতের পরিবর্তে রাজস্থানে কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। মাকেনের অভিযোগ, গৌহলতের ওই আচরণের পরেও না প্রদেশ নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে, না কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। এই নীরব ভূমিকার প্রতিবাদেই রাজস্থানের দায়িত্ব থেকে তিনি অব্যাহতি চাইছেন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সুনির্দিষ্টভাবে দলের তিন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতার। এই তিন নেতা হলেন মহেশ যোশী, ধর্মেন্দ্র রাঠোর এবং শান্তি ধারিওয়াল। মাকেন জানিয়েছেন, এই তিনজন একটি বৈঠক ডাকেন, সেখানে গৌহলতকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল রাখার প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই বৈঠকের কথা শোনার পরেও প্রদেশ নেতৃত্ব চুপ ছিল।
আরও পড়ুন AICC: সভাপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, দৌড়ে শশী-গৌহলত