নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন অমরিন্দর সিং। দিল্লিতে এদিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অপমানের সামিল। আমার মতন একজন প্রবীণ নেতার পক্ষে এই অপমান মেনে নেওয়া যায় না। তাই, দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন অমরিন্দর সিং। বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘোষণায় নানা প্রশ্ন উঁকি মারছে।
একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, “আমি এতোদিন কংগ্রেসে ছিলাম। কিন্তু আজ থেকে আর দলের সঙ্গে আমার আর কোনও সম্পর্ক রইল না। আমার সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই, চিন্তাভাবনা করেই কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি তিনি এবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। জবাবে অমরিন্দর বলেন, দলবদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। বিজেপিতে যেমন যোগ দিচ্ছি না, তেমনই কংগ্রেসের সঙ্গে আমি আজ যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেললাম।
উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, এই ঘোষণার আগে অমরিন্দর সিং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে দেখা করেন। দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই এই দুইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে তাঁর কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণায় নানা প্রশ্ন উঁকি মারতে শুরু করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর অমরিন্দর সিং টুইট করে জানান উভয়ের মধ্যে কী কথা হয়েছে। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ৪৫ মিনিট কথা হয়েছে। পঞ্জাবে লাগাতার কৃষক বিক্ষোভ এবং তিন বিতর্কিত আইন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ফসলের ন্যূনতম সহায়কমূল্য বৃদ্ধিরও আর্জি জানিয়েছি।
কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য এই বৈঠককে ভালোভাবে দেখেনি। দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, অমিত শাহ দিল্লির বাড়ি দলিত রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।