নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার দেশবাসী যখন সাধারণতন্ত্র দিবস পালনে মগ্ন, সেই সময় দিল্লির বুকে ঘটে গেল গণধর্ষণের ঘটনা। এখানেই শেষ নয়। দলবেধে ধর্ষণের পর চার ‘বীর পু্ঙ্গবেরা’ নির্যাতিতার মাথার চুল কেটে গলায় জুতোর মালায় পরিয়ে হাঁটতে বলে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। নির্যাতিতার বোন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ওই চার যুবককে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদ থেকেই ওই চারজন এই কুকীর্তি ঘটিয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মহিলা বিবাহিত। তার একটি সন্তান রয়েছে। মহিলা যে এলাকার বাসিন্দা, সেই এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত নভেম্বরে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়। যুবকের পরিবারে দাবি, সব কিছুর জন্য দায়ী ওই মহিলা। জানা গিয়েছে, চার যুবক প্রথমে ওই মহিলাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বিবেক বিহারে।
দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘এক মহিলা গণধর্ষণের শিকার। গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে শাহদারা জেলায়। গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ চার যুবককে গ্রেফতার করেছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।পাশাপাশি নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।রুজু হয়েছে এফআইআর।’
দিল্লির মহিলা কমিশনও এই গণধর্ষণের খবর পেয়েছে। কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশকে তারা নোটিশ পাঠিয়েছে। গোটা বিষয়ে তাদের থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
এই ঘটনা থেকে আরও একটা বিষয় স্পষ্ট। দিল্লি যেন ক্রমেই ধর্ষণনগরী হয়ে উঠছে।