এই মুহূর্তে




পালি হিল, দিল্লির বাংলো সহ অনিল আম্বানির ৪০ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল‌ ইডি

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: অনিল আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নিল ইডি। বিপুল পরিমাণ সম্পতি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থ। প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঋণ জালিয়াতি তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত মামলায় এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অনিল আম্বানির রিলায়েন্স দিল্লি, পালি হিলের বাসভবন সহ ৪০টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। বাজেয়াপ্ত করার সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৩,০৮৪ কোটি টাকা। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (PMLA) অধীনে একটি বড় অভিযানের মাধ্যমে রিলায়েন্স কর্তার একাধিক বাড়ি-অফিস-সহ প্রায় ৪০ টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তবে অনিল আম্বানির ৩,০৮৪ কোটি টাকার সম্পত্তি অস্থায়ীভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে মুম্বইয়ের বান্দ্রার (পশ্চিম) পালি হিলে অবস্থিত আম্বানি পরিবারের বিখ্যাত বাসভবনও রয়েছে।

ইডির সূত্র অনুসারে, বাজেয়াপ্ত করা অনিল আম্বানির সম্পত্তিগুলির মধ্যে রয়েছে, তাঁর নতুন দিল্লিতে অবস্থিত রিলায়েন্স স্টোর, মুম্বই, পুণে, থানে, নয়ডা, গাজিয়াবাদ, হায়দরাবাদের, চেন্নাই (কাঞ্চিপুরম সহ) এবং পূর্ব গোদাবরীতে অবস্থিত বেশ কয়েকটি অফিস প্রাঙ্গণ, আবাসিক ইউনিট এবং কয়েকটি বিলাসবহুল জমি, মুম্বইয়ের চার্চগেটে নাগিন মহলে অফিস, নয়ডা এবং হায়দরাবাদে ফ্ল্যাট, চেন্নাইয়ের আদিয়ার এবং ওএমআর-কোট্টিভাক্কাম এলাকায় ২৯টি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। জানা গিয়েছে, রিলায়েন্স গ্রুপের উভয় অংশ তথা রিলায়েন্স হোম ফাইন্যান্স লিমিটেড (RHFL) এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইন্যান্স লিমিটেডের (RCFL) সংগৃহীত জনসাধারণের তহবিল অন্যত্র স্থানান্তর এবং পাচারের অভিযোগে একটি বিশদ তদন্তের পরে অনিল আম্বানির সম্পত্তিগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে এই অর্থ আত্মসাতের মামলাটি ২০১৭-২০১৯ সালের, যখন ইয়েস ব্যাঙ্কের RHFL যন্ত্রে ২,৯৬৫ কোটি টাকা এবং RCFL যন্ত্রে ২,০৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে, এই বিনিয়োগগুলি অ-কার্যকর সম্পদে পরিণত হয়েছিল। যার ফলে RHFL-এর জন্য ১,৩৫৩.৫ কোটি টাকা এবং RCFL-এর জন্য ১,৯৮৪ কোটি টাকা বকেয়া জমা হয়েছিল। ED-র তদন্তে উঠে আসে যে, এই বিনিয়োগগুলি পরোক্ষভাবে রিলায়েন্স নিপ্পন মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ইয়েস ব্যাঙ্কের মাধ্যমে রিলায়েন্স গ্রুপের সংস্থাগুলিতে পাঠানো হয়েছিল।

যা SEBI-এর মিউচুয়াল ফান্ডের স্বার্থের সংঘাতের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। ED-এর মতে, এই তহবিল গুলি সাধারণ উদ্দেশ্য কর্পোরেট ঋণের আড়ালে ভুয়ো সত্তা এবং সংযুক্ত সংস্থাগুলির নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছিল। আশ্চর্যজনকভাবে, কিছু আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দেওয়ার আগেই একই দিনে অনেক ঋণ অনুমোদিত, নথিভুক্ত এবং এমনকি বিতরণ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঋণগ্রহীতার ব্যবসায়িক কার্যকলাপ বা দুর্বল আর্থিক অবস্থা ছিল। এরপরেই ইডি তদন্ত এমন অপরাধের কথা জানতে পারলো। ইডি জানিয়েছে, আম্বানির গ্রুপ দোষ ঢাকতে এই বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীদের ইচ্ছাকৃত এবং ধারাবাহিক নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থতা হিসাবে বর্ণনা করছিল। তদন্তে আরও দেখা গিয়েছে যে, ঋণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গ্রুপ-সংযুক্ত সংস্থাগুলিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, যা তহবিল পাচারের একটি বৃহত্তর ধরণকে প্রতিফলিত করেছে। রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের (আরকম) সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থাগুলির সমান্তরাল তদন্তে ১৩,৬০০ কোটি টাকারও বেশি অনিয়ম ধরা পড়েছে। তাই আম্বানির ভারতজুড়ে অবস্থিত প্রায় ৪০ টির বেশি সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে।

 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দেশীয় আনারকলিতে ‘মিস ইউনিভার্স’ মঞ্চের শোভা বাড়ালেন ভারতীয় প্রতিযোগী মণিকা বিশ্বকর্মা

দেশ জুড়ে নাশকতা চালানোর আগেই মোদির রাজ্যে পাকড়াও ৩ আইএস সন্ত্রাসী

মদের নেশায় চুর‌ হয়ে নিজের ৬ বছরের কন্যাকে ধর্ষণ নরপিশাচ বাবার

ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আন্দামান, কম্পনমাত্রা ৫.৪

জালিয়াতি মামলায় পলাতক মেহুল চোকসির সম্পত্তি নিলামের অনুমোদন আদালতের, মূল্য জানেন?

অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে তিনবারের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে দায়ের পকসো মামলা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ