এই মুহূর্তে

মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম দিন, নয়তো দল ডুববে, আর্জি মোদিকে

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের ইতিহাসে প্রথমবার মোদি সরকারের(Modi Government) আমলেই পেট্রোলের লিটার প্রতি দর ছাড়িয়েছিল ১০০টাকার বেশি। রান্নার গ্যাস পার করেছিল সিলিন্ডার প্রতি ১০০০টাকা। আমজনতার সঞ্চয় গত ৩০ বছরে সর্বনিম্ন। বেকারত্ব চরমে। অথচ ঢাক পেটানো হচ্ছে দেশের অর্থনীতি নাকি হু হু করে ওপরের দিকে উঠে চলেছে। যদিও গেরুয়া শিবিরের এই বার্তা নীচুতলায় কোনও ছাপই ফেলছে না। বহু প্রচার ও চটকদারি স্লোগান সত্ত্বেও পায়ের নীচের জমি কিছুতেই শক্ত হচ্ছে না গেরুয়া শিবিরের। এদিকে চলতি বছরেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে বা হবে ৯টি রাজ্যের ভোট। তারমধ্যে ৩টি রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ ইতিমধ্যেই ঘোষিত হয়ে গিয়েছে। বেশি দূরে নেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনও। কার্যত দেড় বছরেরও কম সময়। এই অবস্থায় এখন গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই জোরদার অস্বস্তি ছড়িয়েছে মূল্যবৃদ্ধি(Price Hike), বেকারত্ব(Unemployment) এবং আর্থিক মন্দা। এই অবস্থায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi)ই বার্তা দিয়েছে বিজেপি(BJP)রই নেতারা। মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে পদক্ষেপ না করলে এই ৯টি রাজ্যের নির্বাচনে তো বটেই, আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনেও দলকে কড়া মাশুল গুণতে হবে। হারের মুখে পড়তে হবে।

২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে মোদি নিজে দলের নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়েছেন রাস্তায় নামার। বার্তা দিয়েছেন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে দরজায় দরজায় যেতে। সেই একই বার্তা তিনি দিয়েছেন দলের সাংসদ থেকে বিধায়ক মায় মন্ত্রীদেরও। সেই বার্তা মেনে গেরুয়া শিবিরের নেতামন্ত্রী ও কর্মীরা নেমে পড়েছেন রাস্তায়। আর নেমেই উপলব্ধি করেছেন আমজনরা ক্রমশ বিমুখ হয়ে যাচ্ছে মোদি সরকারের দিকে থেকে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং আর্থিক মন্দা গ্রামে-গঞ্জে-শহরে চরম প্রভাব ফেলছে। মানুষ ক্ষুব্ধ, বিরক্ত ও ক্রুদ্ধ। এই ক্ষোভ প্রশমণে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ না করলে চলতি বছরের ৯টি রাজ্য এবং আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে যে দলকে কড়া মাশুল গুণতে হবে সেটা বুঝতে পারছেন গেরুয়া শিবিরের মাঠে নামা নেতা, কর্মী ও মন্ত্রীরা। তাই এখন বিজেপির এইসব নেতা, কর্মী, সাংসদ, বিধায়ক ও মন্ত্রীরা আকুল আর্তি জুড়েছেন, মূল্যবৃদ্ধির ঘোড়ায় লাগাম পরাতে এখনই কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করুক। এই মর্মেই দল এবং সরকারের কাছে বিজেপির বিভিন্ন রাজ্যের নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিরা আবেদন-নিবেদন শুরু করে দিয়েছেন। মূল্যবৃদ্ধির আঁচ থেকে মানুষকে সুরাহা দিতে যেন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নচেৎ মূল্যবৃদ্ধির জ্বালার মানুষ প্রত্যাঘাত হানবে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে।  

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের নীচুতলার নেতা থেকে কর্মী, সাংসদ থেকে বিধায়ক ও মন্ত্রীরা সবথেকে বেশি চিন্তায় পড়েছেন শহর ও গ্রাম দুই এলাকারই গরিব মানুষের ভোট নিয়ে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯—মোদি ম্যাজিকের সৌজন্যে লাগাতার গরিব এবং দলিত ভোট এসেছে বিজেপির ভোটভাণ্ডারে। এবার কিন্তু সবথেকে বেশি সঙ্কটে এই দুই শ্রেণির মানুষই। উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনা, আগের সব ভোটে গরিবের সমর্থন এনে দিয়েছিল বিজেপির ঘরে। কয়েক বছর ধরে সেটাই গরিবের কাছে সবথেকে বড় গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে। এই প্রকল্প গরিব মহিলাদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল। কিন্তু এখন তা বোঝা। কারণ সিলিন্ডারের অস্বাভাবিক বেশি দাম। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে। বাংলায় তবু রাজ্য সরকার সেই খামতি পূরণ করেছে নিজেদের কোষাগার থেকে টাকা দিয়ে বা ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের মাধ্যমে গরীব মানুষদের কাজ দিয়ে। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এই ধরনের কোনও প্রকল্প নেই। তাই সেখানে সমস্যার সুরাহাও নেই। আবার বাংলার মহিলারা প্রতি মাসে মাসে যে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’র সুবিধা পান তা দেশের আর কোনও রাজ্যের মহিলারা পান না। তাই হেঁসেলের আগুনের আঁচ ক্রমশই বেশি করে পড়তে শুরু করেছে পদ্মশিবিরের গায়ে। তাই মোদিকে এখন দলের নেতাকর্মী থেকে জনপ্রতিনিধি মায় মন্ত্রীদের আর্জি, মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে আর বেকারত্বের জ্বালা কমাতে কিছু একটা অন্তত করুন!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব

রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ল গাড়ি, জম্মু-কাশ্মীরে নিহত ১০

কেজরির গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব অমর্ত্য

৭ দিন আগেই জেলে বিষ মেশানো খাবার দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন মুখতার

‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’ জেলবন্দি বাহুবলী নেতার, উত্তরপ্রদেশজুড়ে জারি সতর্কতা

কমল-পুত্র নকুলের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৭০০ কোটি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর