নিজস্ব প্রতিনিধি: তামিলনাড়ুর কুন্নুরে গত বুধবারের ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনায় মুত্যু হয়েছে সস্ত্রীক সিডিএস বিপিন রাওয়াতসহ আরও ১১ জনের। তাঁদের মধ্যে ৩ জন অর্থাৎ সিডিএস বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুনিকা রাওয়াত এবং ব্রিগেডিয়ার এল এস লিড্ডার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে শুক্রবার। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁদের শেষ বিদায় জানিয়েছে গোটা দেশ। অন্যদিকে এই দুর্ঘটনায় বাকি মৃতদের দেহ সৎকার হবে শনিবার। বৃহস্পতিবার রাতেই এই দুর্ঘটনায় মৃত ১৩ জনের দেহ আনা হয় দিল্লিতে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত তাঁদের দেহ শায়িত ছিল রাজধানী দিল্লির আর্মি বেস হাসপাতালে। এরপর শনিবার সকাল থেকেই তাঁদের দেহগুলি নিজের নিজের বাড়িতে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, সস্ত্রীক সিডিএস বিপিন রাওয়াত, ব্রিগেডিয়ার এল এস লিড্ডা ছাড়াও এই দুর্ঘটনায় যে ৬ জনের মৃতদেহ সনাক্ত হয়েছে তাঁরা হলেন, ল্যান্স নায়েক বিবেক কুমার, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার প্রদীপ, উইং কমান্ডার পিএস চৌহান, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রানা প্রতাপ দাস, ল্যান্স নায়েক বি সাই তেজা এবং স্কোয়াড্রন লিডার কুলদীপ সিং। তাঁরা ছাড়াও আরও ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় দুর্ঘটনাস্থল থেকে। কিন্তু তাঁদের মৃতদেহগুলি এতটাই খারাপ অবস্থায় উদ্ধার হয় যে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া সনাক্ত করার কোনও উপায় নেই। সেই কারণে তাঁদের বাড়ির সদস্যদের দিল্লির ওই বেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহগুলি দ্রুত সনাক্ত করার জন্য। জানা যাচ্ছে, সনাক্তের পরেই মৃতদেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং শনিবার এই দুর্ঘটনায় মৃত বাকি সদস্যদের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
জানা যাচ্ছে, এদিন সকাল ৯:৪৫ নাগাদ উইং কম্যান্ডার চৌহানের দেহ পৌঁছয় তাঁর আগ্রার বাড়িতে। অন্যদিকে, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার প্রদীপের কফিন সকাল ১১টায় তামিলনাড়ুর সুলুর বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করবে বলে জানা যাচ্ছে। সেখান থেকে প্রায় ১২৪ কিলোমিটার দূরে ত্রিশুরের তিজ শহরে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর মৃতদেহ।
পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, ল্যান্স নায়েক বি সাই তেজার কফিনটি দুপুর ১টার মধ্যে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। তারপর অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলায় তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর মৃতদেহটি। অন্যদিকে ল্যান্স নায়েক কুমারের কফিন হিমাচল প্রদেশের গাগ্গাল বিমানবন্দরে পৌঁছাবে এবং তারপর কাংড়া জেলায় তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। স্কোয়াড্রন লিডার কুলদীপ সিংয়ের কফিন সকাল ১১.৪৫ টার মধ্যে রাজস্থানের পিলানি বিমানবন্দরে পৌঁছাবে এবং তারপরে ঝুনঝুনু জেলায় তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, এই দুর্ঘটনায় মৃত অপর ৪ জন অর্থাৎ লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, নায়েক গুরসেবক সিং, নায়েক জিতেন্দ্র কুমার এবং হাবিলদার সাতপালের মৃতদেহ এখনও সনাক্ত করা যায়নি। তাঁদের দেহ সনাক্ত হওয়ার পরে সেগুলিও তাঁদের পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে খবর।