নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ঘটনা গত এপ্রিলের।
দিল্লির এক বিজেপি পুরকর্তার নির্দেশে শুরু হয়েছিল বুলডোজার চালিয়ে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ। যাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র ছিল, তাদের বাড়ি ও দোকান বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। অভিযান চলে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। অভিযান স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়ে এলাকার বাসিন্দারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে সুপ্রিম কোর্ট অভিযান স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। আর সেই বুলডোজার অভিযানের খেসারত বিজেপি। দিল্লির পুরসভা গত ১৫ বছর ধরে তাদের দখলে ছিল। সেই পুরসভা বেহাত।
বিজেপি যে দিল্লি পুরসভা হারাতে চলেছে, তার প্রথম ইঙ্গিত মিলেছিল বুথফেরত সমীক্ষার রিপোর্টে। দেখার দরকার ছিল সেই সমীক্ষার ফল কতটা মেলে। সকালে গণনা শুরু হতেই কেন্দ্রে আসীন শাসকদলের সঙ্গে আপের আসন ব্যবধান বাড়তে শুরু করে। বেলা চওড়া হওয়ার সঙ্গে সমান্তরালভাবে বেড়েছে আপের সঙ্গে পদ্ম শিবিরের আসনের ব্যবধান। সকালেই স্পষ্ট হয়ে যায়, দিল্লি পুরসভা দখল করতে চলেছে আম আদমি পার্টি। সূর্যাস্তের আগেই জানা গেল দিল্লি পুরসভায় শেষ ১৫ বছরের রাম রাজত্বের। এই পরাজয় যে বিজেপির কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠবে, তা বলাই বাহুল্য।
রাজনৈতিকমহল বিজেপির পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দুটি বিষয় তুলে ধরেছে। প্রথম পুরসভায় দুর্নীতি, দ্বিতীয় কেন্দ্রে আসীন শাসকদলের প্রতি মোহভঙ্গ। রয়েছে বুলডোজার অভিযান।দিল্লিবাসী যে বিজেপির ওপর তিতিবিরক্ত সেটা দিল্লি পুরভোট থেকে স্পষ্ট।