নিজস্ব প্রতিনিধি: হরিয়ানায় মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। গত ২৩ অগস্ট হরিয়ানার ফরিদাবাদে পাঁচজনের একটি দুষ্কৃতির দল গাড়িতে ধাওয়া করে একজন ১২ শ্রেনীর ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। পাঁচজনের দুষ্কৃতীদের দলটিকে গো-রক্ষক বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে, গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর। সূত্রের খবর, তাঁরা ছেলেটিকে গরু পাচারকারী ভেবে তাঁর উপর গুলি চালিয়ে দেয়। পুলিশ সূত্র একটি সংবাদ সংস্থা-কে জানিয়েছে, অভিযুক্তরা জিজ্ঞাসাবাদের সময় দাবি করেছে, ২৩ অগস্ট রাতে, তারা সন্দেহভাজন গবাদি পশু পাচারকারীরা দুটি এসইউভি চালানো অবস্থায় ছাত্রের গাড়িকে ধাওয়া করেছে।

তাঁরা নিহত ছাত্র আরিয়ান মিশ্র, তাঁর বন্ধু, শ্যাঙ্কি এবং হর্ষিতকে গরু পাচারকারী ভেবেছিল এবং দিল্লি-আগ্রা জাতীয় মহাসড়কের গধপুরী টোলের কাছে প্রায় ৩০ কিলোমিটার তাদের গাড়ি অনুসরণ করেছিল। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে যে, অভিযুক্তরা পুলিশকে বলেছে যে তারা ছেলে এবং তার বন্ধুদের তাদের গাড়ি থামাতে বললে, চালক থামেনি, এবং তারা গুলি চালায়। এরপর পালওয়ালের গধপুরি টোলের কাছে আরিয়ান মিশ্র নিহত হয়। পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমান যাদব মঙ্গলবার বলেছেন যে, পাঁচ অভিযুক্ত – সৌরভ, অনিল কৌশিক, বরুণ, কৃষ্ণা এবং আদেশ -কে ২৮ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং তাঁদের দু’দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। এসপি বলেন, পুলিশি রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সকল আসামিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। অপরাধে ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র ও গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটি পুরনো শত্রুতার মামলা কিনা তাও তারা তদন্ত করছেন। উত্তরপ্রদেশে গবাদি পশু পাচারের অভিযোগে ৪৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ নিহতের বাবা দাবি করেছেন যে, তার ছেলের সঙ্গে পরিচিত একজন তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। অস্ত্রটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে এবং পুলিশ অভিযুক্তদের দেওয়া বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করা হচ্ছে।