নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি: কলসেন্টারের নাম ভাঙিয়ে নির্বিবাদে চলছিল শরীর বিনিময়ে রোজগার। সাইবারাবাদ পুলিশ অনেক আগেই খবর পেয়েছিল। ফেলেছিল ছিপ।অপেক্ষায় ছিল ‘মাছ’ কখন ছিপ গেলে। ছিপ মুখে তুলতে একযোগে সাইবারাবাদ পুলিশের অপরাধ দমনশাখা মাঠে নামে। একযোগে তল্লাশি চালায় দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদে। তল্লাশি চালিয়ে তারা উদ্ধার করে ১৪,১৯০ জনকে। যাদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের। ২০ শতাংশ কর্নাটক, ১৫ শতাংশ দিল্লি। উদ্ধার হওয়া তরুণীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ, নেপাল, থাইল্যান্ড, উজবেকিস্তান, রাশিয়ার। কীভাবে টাকা ভাগ হত, সেটাও সাইবারাবাদ পুলিশ জানিয়েছে। দেহোপজীবিনীরা দেওয়া হত মাত্র ৩০ শতাংশ।তাদের জন্য যারা ক্রেতার ব্যবস্থা করে দিতেন, তারা পেতেন ৩৫ শতাংশ।আর ব্যবস্থা যারা করে দিতেন তারা পেতেন ৩৫ শতাংশ।
পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, দেহ ব্যবসা চলত বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেই সব ওয়েবসাইট গুলি হল লোকান্তো, স্কোক্কা, হায়দরাবাদএসকর্টস, কলগার্লসিনহায়দরাবাদ, লাক্সারিএসকর্টসার্ভিসেস, মাইহেভেনমডেলস, নাতাশারয় ডট ইন। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে মহম্মদ আমেন, মহম্মদ সামির, হারবিন্দর কাঔর, মহম্মদ সলমন খান, মহম্মদ আবদুল কারিম, ইয়ারাসানি যোগেশ্বর রাও-সহ ১৭জন। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। জেরায় তারা অপরাধ স্বীকার করেছে। পুলিশ এই পাচারচক্রের মাথার হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ নির্যাতিতাদের বয়ানও নেবে। গ্রাহকদের মধ্যে অনেক হেভিওয়েট থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশ। তবে সেটা জেরার পর জানা যাবে। ঘটনায় তোলপাড় তিন শহর।