নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: ধর্ষণ এবং টু ফিঙ্গার টেস্টের অভিযোগে অভিযুক্ত ২৯ বছরের ফ্লাইট লেফটেন্য়ান্টের কোর্ট মার্শাল ( সেনা আদালতে বিচার)। কোয়েম্বাতুররে একটি আদালত পুলিশকে জানিয়েছে, মামলা সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করার।
শুনানির সময় ভারতীয় বায়ুসেনা জানায়, ১৯৫০ সালের আইন অনুসারে অভিযুক্ত ওই অফিসারের বিচার হবে। পুলিশকে তারা ওই মামলা তাদের হাতে হস্তান্তর করতে বলেছে। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ফ্লাইট লেফটেন্যান্টে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কোয়েম্বাতুরেরর মহিলা পুলিশ শাখা কোয়েম্বাতুর অল ওমেন পুলিশ। ভারতীয় বায়ুসেনাকে তারা জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা অভিযুক্ত ওই সেনা আধিকারিককে আগামীদিনে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সে ক্ষেত্রে বায়ুসেনা যেন অভিযুক্ত অফিসারকে তাদের হাতে তুলে দেয়।
সহকর্মীকে ধর্ষণ ও টু ফিঙ্গার টেস্টের অভিযোগে সেনাবাহিনী বেশ অস্বস্তিতে। ভারতের মহিলা কমিশন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার সঙ্গে কথা বলেছে। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট টু ফিঙ্গার পরীক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেও নির্যাতিতাকে ওই পরীক্ষা করা হয়েছে জেনে তারা বিস্মিত।
সেনাসূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের পরে পরেই ওই ফ্লাইট লেফটেন্য়ান্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে খবর সব থেকে বেশি উদ্বেগের তা হল নির্যাতিতাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যাবতীয় চাপকে অস্বীকার করে ওই নির্যাতিতা অভিযোগ রুজু করেন। আর সেই অভিযোগের জেরেই নড়েচড়ে বসে ভারতীয় বায়ুসেনা।