নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিছানায় প্রস্রাব করায় পঙ্গু হয়ে শয্যাশায়ী বাবাকে শ্বাসরোধ করে খুন করল গুণধর ছেলে। প্রথমে খুনের দায় পড়শির কাঁধেই চাপানোর চেষ্টা চালিয়েছিল ঘাতক। কিন্তু দুঁদে পুলিশ আধিকারিকদের জেরার মুখে শেষ পর্যন্ত নিজের অপকর্ম স্বীকার করে নিয়েছে গুণধর ছেলে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির আনন্দ পর্বত এলাকায়। পুলিশ ইতিমধ্যেই পিতৃহত্যার দায়ে ঘাতক ছেলেকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার দিল্লি পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ কমিশনার শ্বেতা চৌহান জানিয়েছেন, ‘গত শুক্রবার আনন্দ পর্বত এলাকায় জিতেন্দ্র শর্মা নামে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পৌঁছয় থানায়। ওই খবর পেয়ে পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতের মরদেহ উদ্ধার করেন। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে মরদেহটি রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। অটোপসি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শ্বাসরোধের কারণেই জিতেন্দ্র শর্মার মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হলো তা জানতে তদন্ত শুরু করা হয়। নিহত জিতেন্দ্র শর্মার এক পড়শিকে জেরা করা হয়। তিনি জানান, ওই দিন সন্ধে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তি ও তাঁর ছেলের সঙ্গে বসে মদ্যপান করেছেন। তার পরে কিছু জানেন না।’
পড়শির কাছ থেকে পাওয়া বেশ কিছু সূত্র ধরে নিহতের ছেলে সুমিত শর্মাকে জেরা করা করা হয়। প্রথমে বাবাকে খুনের দায় নিজের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছিল। পরে স্বীকার করে নেয়, জন্মদাতাকে সে-ই খুন করেছে। পরিবারে আর কেউ না থাকায় গত কয়েক মাস ধরেই শয্যাশায়ী বাবার দেখভাল করতে হচ্ছিল তাকে। আর বাবার পরিচর্যা করতে গিয়ে হাঁফিয়ে উঠেছিল। ঘটনার দিন বিছানায় প্রস্রাব করায় মেজাজ আর ঠিক রাখতে পারেনি। তাই শ্বাসরোধ করে বাবাকে খুন করেছে।’