এই মুহূর্তে




মমতার দাবিতে সিলমোহর, রাজধানীর দাঙ্গা পূর্বপরিকল্পিত : দিল্লি হাইকোর্ট




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি:   রাজধানীর ২০২০ সালের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে মোদি সরকার। এক অভিযুক্তের জামিন দিতে অস্বীকার করে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রহ্মণিয়ম প্রসাদের বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ বলছে,  চিন্তাভাবনা করেই দুই সম্প্রদায়ের মানুষকে উস্কে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট এও বলেছে, কোনও সভ্য সমাজে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। হাইকোর্টের এই রায়ে বিড়ম্বনায় মোদি সরকার। কারণ, দিল্লির আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই রায় কার্যত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিতে সিলমোহর দিল। 

২০০২ সালের দিল্লির সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে প্রাণ হারান ৫০জন। আহত হন দু শতাধিক। টানা তিনদিন ধরে দেশবাসী দেখেছিল ক্ষোভের আগুন জ্বলছে রাজধানী। সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ভিটে-মাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার কার্যত হাত গুটিয়ে বসেছিল। এই ঘটনার পরে পরে বিরোধী শিবির কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তোলে।

বিরোধীদের অভিযোগ, পদক্ষেপ করার বদলে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং তার দোসর কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। যদিও কেন্দ্র এই সব সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে।

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রহ্মণিয়মের এজলাসে মহম্মদ ইব্রাহিম নামে এক অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি চলছিল। মহম্মদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে এক পুলিশ কন্সটেবলকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। জামিনের আর্জি খারিজ করে বিচারপতি সুব্রহ্মণিয়মের বেঞ্চ জানায়,  “ ২০০২ সালের দিল্লির দাঙ্গা পূর্বপরিকল্পিত। স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ একে অন্যের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে যে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে, তা একেবারেই ঠিক নয়।“

এই প্রসঙ্গে বিচারপতি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুরের বিষয়টি উল্লেখ করেন বলেন,  “ নজরক্যামেরা নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া থেকে শুরু করে ক্যামেরা ভাঙচুর থেকে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরিকল্পনা আগেই নেওয়া হয়েছিল। দুই সম্প্রদায়ের মানুষকে উস্কে দেওয়ার নাটের গুরুদের মুখ যাতে নজরক্যামেরায় বন্দি না হয়, সে কারণে ঘটনাস্থলের আশাপাশে থাকা সিসি ক্যামেরা হয় নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে, না হলে ক্যামেরাগুলি ভেঙে ফেলা হয়।“ বিচারপতি সুব্রহ্মণিয়ম আরও বলেছেন, ঘটনার যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে দাঙ্গাবাজদের হাতে ছিল ধারাল অস্ত্র, লাঠি, ক্রিকেট ব্যাট।  

দিল্লি হাইকোর্টের রায় যে কেন্দ্রীয় সরকারকে চরম অস্বস্তিতে ফেলবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে রেখা গুপ্ত, বৃহস্পতিতে শপথ

‘মৃত্যুকুম্ভ’ শব্দবন্ধ নিয়ে মমতাকে সমর্থন অখিলেশের

ঘরে স্ত্রী না থাকার সুযোগে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ স‍ৎ বাবার

ত্রিবেণী সঙ্গমের জলে স্নানের সুযোগ পাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের ৯০ হাজার কয়েদি

মহা চম‍ৎকার, মহাকুম্ভেই এক সঙ্গে দর্শন মিলছে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের

স্ত্রীর গণধর্ষণের সাক্ষী ছিলেন স্বামী, ডিজেল ঢেলে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারল ধর্ষকরা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর