নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লক্ষ্যে আঘাত হানতে তার দোসর মেলা ভার। দুনিয়ার অর্ধেক তার নাকের ডগায়। চিন-পাকিস্তানের কানে গিয়েছে সেই খবর। খবর শুনে তারা ঠকঠক করে কাঁপছে।
খবরটা কেঁপে ওঠার মতই। শুধু চিন-পাকিস্তান কেন, গোটা দুনিয়াকে ঝাঁকুনি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে সে। নাম অগ্নি। আর তেজ অগ্নির মতই। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা এবং ভারত ডায়নামিক্স যৌথভাবে তৈরি করেছে অগ্নি-৫ ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। পাঁচ থেকে আট হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ওজন ৫০ হাজার কিলোগ্রাম। যেমন লম্বা, তেমন চওড়া। লম্বায় সাড়ে ১৭ মিটার। চওড়া দু মিটার। মাথায় নিতে পারে দেড় হাজার কিলোগ্রাম ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র। ৮.১৬ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় নেয় মাত্র এক সেকেন্ড।প্রতি ঘণ্টায় ২৯, ৪০১ কিলোমিটার দৌড়তে পারে। অর্থাৎ, শত্রু যদি মনে করে পালিয়ে বাঁচবে, তাহলে সেই ধারণা ভুল। শত্রুকে বধ না করে ফিরবে না অগ্নি-৫ ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
এর নাকের ডগায় দুটি মহাদেশ এবং একটি মহাদেশের অর্ধেক। একসঙ্গে একাধিক লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে পারে অগ্নি-৫। এই ক্ষেপণাস্ত্রে রয়েছে এমআইআরভি প্রযুক্তি (মাল্টিপল ইন্ডিপেনডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিক্যাল)। এই প্রযুক্তির মূল কথা, একই সঙ্গে এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায় বসানো যাবে একাধিক অস্ত্র। আর একই সঙ্গে সমান্তরালভাবে সে হামলা চালাতে পারে।
চিন এবং পাকিস্তান টের পেয়েছে ভারতের এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির খবর। বেজিংয়ের অভিযোগ, দিল্লি আসল তথ্য চেপে গিয়েছে। গতিবেগ থেকে শুরু করে এই ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপারে যে সব তথ্য প্রকাশ করেছে তা সঠিক নয়। আসল তথ্য বেমালুম চেপে গিয়েছে।