নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ২৩ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার শ্রীনগরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০১৯ সালে জম্মু এবং কাশ্মীরের ওপর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম ভূস্বর্গ সফর। আর এই সফরকে কেন্দ্র করেই কার্যত সাজো সাজো রব গোটা শ্রীনগর জুড়ে। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে সমগ্র এলাকা। এমনকি প্রথমবারের জন্য আকাশপথে নজরদারি চালানোর জন্য শ্রীনগরের আকাশে ওড়ানো হচ্ছে দ্রোণ। পাশাপাশি যে সমস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন অমিত শাহ, সেই সব জায়গায় বহাল করা হয়ে হয়েছে একাধিক স্নাইপার। সব মিলিয়ে শাহের এই ভূস্বর্গ সফর নিয়ে যে কেন্দ্রের মাথাব্যাথার কোনও কমতি নেই, তা ভালো মতোই বোঝা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই অশান্ত ভূস্বর্গ। একদিকে যেমন সীমান্তে পাকিস্তান অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলির লড়াই চলছে প্রায় প্রতিদিন, অন্যদিকে কাশ্মীরের একাধিক জেলায় বেশ কিছু সাধারণ মানুষ খুন হয়েছেন জঙ্গিদের হাতে। দেখা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিনে যেসব মানুষ জঙ্গিদের শিকার হয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই অমুসলিম, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। মৃতদের মধ্যে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সংখ্যাই বেশী। আর তারপরই তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। এমনকি আতঙ্কিত হয়ে কাশ্মীর ছাড়তেও শুরু করেছেন অনেকে। এমতাস্থায় শাহের শ্রীনগর সফরে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।
কিন্তু আপাতত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে কার্যত ঢেলে সাজানো হচ্ছে কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দ্রোণ, স্নাইপারের পাশাপাশি ডাল লেকে নামানো হয়েছে একাধিক স্পিড বোট। ওই বোটে করেই টহল দিচ্ছেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। আপাতত পর্যটকদের জন্য বন্ধ করা হয়েছে ডাল লেক। পাশাপাশি সিকারাতেও মোতায়েন করা হয়েছে অভিজ্ঞ স্নাইপার।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, শ্রীনগরের রাস্তায় টহল দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ১৫ কোম্পানি CRPF জওয়ান দিল্লি থেকে রওনা দিয়েছে। পাশাপাশি এই কয়েকদিনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সন্দেহে ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। তাঁদের আপাতত কাশ্মীরের বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপত্তায় মোড়া একটি প্রাইভেট প্লেনে করে। পাশাপাশি কাশ্মীর জেল থেকে আরও ১০০ জন কয়েদিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।